এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাটমানি প্রসঙ্গে নেত্রী মুখ খুলতেই শুরু কাদা ছোড়াছুড়ি, সভাতেই দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন অন্যেরা

কাটমানি প্রসঙ্গে নেত্রী মুখ খুলতেই শুরু কাদা ছোড়াছুড়ি, সভাতেই দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন অন্যেরা


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে দুর্নীতিই যে অনেকাংশে দায়ী তা বুঝতে বাকি ছিল না তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাইতো ফলাফল প্রকাশের পর কিছুদিন আগেই নজরুল মঞ্চে দলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে কেউ কাটমানি খেলে তা তাকে ফেরত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যা দিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি দিকে দিকে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে টাকা ফেরতের দাবিতে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সংগঠিত করা হয়। তবে এসব সত্ত্বেও দলের 99.99 শতাংশই সৎ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পার্থবাবুর এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের যে অনেকটাই খারাপ হয়েছে তা মালদহ জেলা তৃণমূলের ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকেই প্রমাণ হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, সোমবার মালদহ চাচোলের একটি বেসরকারি লজে লোকসভা নির্বাচনে দলের হার নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল, পঞ্চায়েত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মালদহের পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানী সহ অন্যান্যরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এই বৈঠকেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন আরেক অংশ। অন্যদিকে চাচোল 1 ব্লকের নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনার সময় চাচোলে দলের ভোট কেন কমেছে, তা নিয়ে নেতৃত্বদের কাছে প্রশ্ন করেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানী। আর সেই সময়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র কাদা ছোড়াছুড়ির সৃষ্টি হয় বলে খবর‌।

যেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে থাকেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে সেখানে মাঠে নেমে অবস্থা সামাল দিতে হয় জেলা নেতৃত্বকে। তবে এদিনের এই বৈঠকের সংবাদমাধ্যমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার জন্য পরে বাইরে এসে কাটমানির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে সকলকে বলে জানান মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর।

যেখানে তিনি বলেন, “যদি কেউ কাটমানি নিয়ে থাকেন, তবে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি যেই করুক, দল তাদের পাশে দাঁড়াবে না। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে নির্বাচনে হারের কারণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।” এদিকে এদিনের বৈঠকে মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে গোলাম রব্বানীকে নিযুক্ত করায় তিনি জেলার সংগঠন ঠিক মত বুঝে উঠতে পারছেন না বলেও সরব হতে দেখা যায় কর্মীদের একাংশকে বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে ফলাফল পর্যালোচনায় বৈঠকেও কাটমানি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তীব্র অস্বস্তিতে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!