করোনা ভাইরাসের মধ্যেই এবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সর্বত্র। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আইলার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে যার কারণে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। সরকারের পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে অতীতে বুলবুল বা ফনি যে ঘূর্ণিঝড়ই তাণ্ডব চালাক না কেন, সেই সময় সাবলীল ভূমিকায় দেখা গেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে।

দুর্যোগের সময় রায়দিঘির মানুষের পাশে সব সময় থাকতে দেখা গেছে তাকে। আর এবার যখন করোনাভাইরাসের মধ্যে আমপানের দাপট আতঙ্কে রয়েছেন সকলে, ঠিক তখনই রায়দিঘির মানুষকে বুক দিয়ে আগলে রাখার উদ্যোগ নিচ্ছেন সেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে এই ঝড়কে মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছেন বাম আমলের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় আটকানোর জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ প্রথম নয়। অতীতেও বিভিন্ন দুর্যোগের সময় রায়দিঘির মানুষের পাশে ছুটে গিয়েছেন তিনি। বুক দিয়ে আগলে রক্ষা করেছেন দুর্যোগে বিপর্যস্ত হওয়া মানুষদের। খাবার থেকে শুরু করে বাসস্থান সমস্ত দিকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আর এবার তাকে যেভাবে দুর্যোগ আটকাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে, তাতে অনেকেই আশ্বস্ত হচ্ছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যত বড়ই দুর্যোগ আসুক না কেন, আমি তৈরি আছি। রায়দিঘিতে আমার স্ত্রীর স্কুল আছে। সেখানে সবার থাকার ব্যবস্থা করেছি। 2 হাজার ত্রিপল, একটা নৌকা, 100 কুইন্টাল চাল, 3 লক্ষ টাকার ওষুধের বন্দোবস্ত করেছি। এখানে যাদের মাটির ঘর আছে, তাদের সবাইকে সন্ধ্যা নামার আগে ওই স্কুলে চলে যেতে বলেছি।”

অর্থাৎ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হলেও, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় যেভাবে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন, তাতে আশ্বস্ত হচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। প্রকৃতিকে আটকানোর মত ক্ষমতা কারোর নেই। কিন্তু আগে থেকেই রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে যে ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন বাম আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।