এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খাঁটি মুসলিমরা গন্ডগোলে নেই, বাজারের টুপি পরে অশান্তি করছে কিছু লোক! দাবি তৃণমূলী মন্ত্রীর

খাঁটি মুসলিমরা গন্ডগোলে নেই, বাজারের টুপি পরে অশান্তি করছে কিছু লোক! দাবি তৃণমূলী মন্ত্রীর

 

সম্প্রতি শুক্রবার দিন থেকে শুরু করে ক্রমাগত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গাড়িতে আগুন দেওয়া, স্টেশনে আগুন দেওয়া, লুটপাট, ভাঙচুর সহ একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা ছবি সামনে আসতে শুরু করে। বস্তুত, সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে এই ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন করা হচ্ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ঘটনা অবশ্য বিজেপির তরফ থেকে একটি সম্প্রদায়ের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়।

ছবিতে এমন কিছু তথ্য সামনে উঠে আসতে শুরু করে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে রীতিমতো তরজা শুরু হয়। আর এদিন রাজ্যজুড়ে চলা হিংসাত্মক বিক্ষোভ-সমাবেশের পিছনে কিছু বহিরাগত শক্তির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

তিনি দাবি করেছেন, ওই লোকেরা গোলমাল পাকিয়ে কেন্দ্রকে শক্তি যোগাতে চাইছে। বস্তুত, বুধবার বিকেলবেলা বর্ধমান শহরে বইমেলা উদ্বোধন করতে এসেছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে চাইছি। কিন্তু শান্তিপূর্ণ না থাকার পিছনে কিছু লোক আছে। গোলমাল পাকিয়ে তারা কেন্দ্রকে শক্তি যোগাতে চাইছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে তারা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা খাঁটি মুসলমান, তারা কখনও গন্ডগোল করবে না। টুপি তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। টুপি পরলে কি করে বুঝবে কে মুসলমান, আর কে মুসলমান নয়!”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেই বিক্ষোভকারীদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দীলিপবাবুর মন্তব্যে কটাক্ষ করে সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, “উনি রাখাল বালকের মত কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, গোটা দেশে আন্দোলন শুরু হয়েছে।”

পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আগামীদিনে এই আন্দোলনে নিজের দলের ভূমিকার কথাও স্পষ্ট করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, “আগামী রোববার আমাদের জামায়াতে উলামায়ে হিন্দ সংগঠনের তরফ থেকে কলকাতায় বড় সভা হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থী ভবন হাইস্কুলের মাঠে শুরু হয়েছে। জেলার তৃতীয় বইমেলা যে বইমেলা চলবে, আগামী 24 ডিসেম্বর পর্যন্ত বইমেলার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

সিদ্দিকুল্লা সাহেবের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক হুমায়ুন বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন হাজরা চৌধুরী, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রায় শেষলগ্নে যোগদান করেন রাজ্যের আরেকজন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। স্বপনবাবুর সঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়াও উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী ভাষণে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মানুষের জীবনে শিক্ষার প্রসারে বইমেলার গুরুত্ব এবং বই পড়ার গুরুত্বের কথা ব্যক্ত করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসাত্মক আন্দোলনের পিছনে ষড়যন্ত্রকারী শক্তির হাত আছে বলে এবং টুপি পড়ে কিছু লোক অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। আর সিদ্দিকুল্লা সাহেবের এই মন্তব্য রীতিমতো আলোড়ন জাগিয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।

ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের তরফ থেকে অগ্রিম রাজ্য থেকে আসা কিছু মৌলবাদী সংগঠনের হিংসাত্মক ঘটনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি টাকা ছড়িয়ে রাজ্যের অশান্তি করতে চাইছে।” এরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!