করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য গোটা দেশ বর্তমানে লকডাউন। আর এই লকডাউন হওয়ার কারণে চরম সমস্যায় পড়েছে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাসিন্দারা। গোটা দেশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং পরিবহন ব্যবস্থা সচল না থাকায়, লকডাউনের মধ্যে একদিকে যেমন তারা কাজ করতে পারছেন না, ঠিক তেমনই বাড়িতে না এসে তাদের কার্যত চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।

আর এমতাবস্তায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে চেন্নাইয়ে আটকে পড়া দুই হাজার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, চেন্নাই গিয়ে যে সমস্ত পরিবার বিপাকে পড়েছেন, তাদের প্রত্যেকের তথ্য নিয়ে পরিবার পিছু একজনের একাউন্টে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। বস্তুত, বীরভূম, মঙ্গলকোট, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচুর মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে গিয়ে বর্তমানে আটকে রয়েছেন।

প্রথমদিকে লকডাউন হওয়ার পর সেখানকার সরকার অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষ আটকে পড়ায় তাদের খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সরকার সেই দায়িত্ব নিতে চায়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। পরিবহন ব্যবস্থা সচল না থাকায় বাংলার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা যেমন বাড়ি ফিরে আসতে পারছেন না, ঠিক তেমনই খাওয়া-দাওয়া না করে চরম সমস্যার মুখে পড়ছেন। তাই এমন অবস্থায় তারা আবেদন জানান রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।

আর সাধারন মানুষের দুর্দশা শুনেই প্রত্যেকের তথ্য নিয়ে তাদের ব্যাংক একাউন্টে থাকা এবং খাওয়ার জন্য অর্থ পাঠিয়ে দেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। যা বর্তমান সময়ে শুভেন্দুবাবুর মানবিকতাকে সকলের সামনে এনে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশের মতে, বরাবরই শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত মানবিক। আর বর্তমান সময়ে যখন মহামারীতে ভুগছে গোটা দেশ, ঠিক তখনই বাংলা থেকে চিকিৎসা করাতে চেন্নাইয়ে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুবাবু প্রমাণ করে দিলেন, তিনি প্রকৃত জননেতা বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।