মনখারাপের পুজোতে প্রবীণদের মুখে হাসি ফোটাতে হেভিওয়েট মন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য October 16, 2018 বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে মাতোয়ারা আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর এই হাতে গোনা কয়েকটা দিনই যাবতীয় দুঃখ, কষ্ট, ক্লান্তি, চিন্তা ভুলে খুশির জোয়ারে ভেসে যান সবাই। কিন্তু সেই মানুষগুলোর কথা ভেবেছেন কি যাদের পরিবার বলতে কেউ নেই? সান্নিধ্য নেই সন্তান-সন্ততির। পুজোর দিনগুলো কীভাবে কাটান তাঁরা? কথা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা ওই প্রবীন মুখগুলোর। যাঁদের হয়তো পরিবারের লোকজনই বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছেন, কারোর হয়তো সত্যিই পরিবার বলতে কেউ নেই। এরকমই সহায়সম্বলহীন রাসবিহারী কাঠিয়াবাবা বৃদ্ধাশ্রমে থাকা ১৮ জন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে দেখা গেল রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে। অবৈতনিক বৃদ্ধাশ্রমে থাকা আবাসিকদের পুজোর জন্য নতুন শাড়ি এবং ধুতি উপহার দিলেন তিনি। মন্ত্রীর এরকম মানবিক মুখ দেখে আপ্লুত প্রবীণ মুখগুলো। নতুন পোশাক হাতে পেয়ে আবেগে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। নতুন পোশাক পেয়ে প্রবীণ আবাসিকেরা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আবাসিকদের বক্তব্য, ‘আশ্রম আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। অধিকাংশই বয়স্কজনিত রোগে ভুগছেন। শারীরিক কষ্টের মধ্যেও পুজোয় নতুন পোশাক পরার ইচ্ছে হয়’। এদিকে, অসহায় প্রবীণ মানুষগুলোকে পুজোর মরশুমে মুখে হাসি ফোটাতে পেরে সন্তুষ্ট মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাও। তিনি জানালেন, ওই আশ্রমের আবাসিকদের পরিবার বলতে কেউ নেই। অন্যদের মতো তাঁদেরও পুজোর সময় নতুন পোশাক পড়ার সাধ হয়। তাঁদের সেই ইচ্ছের কথা ভেবেই আনন্দ দেওয়া হন্য প্রত্যেক আবাসিককে নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আশ্রমের বক্তব্য, পরিবারে দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই, এমন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরই বিনা খরচে এই আশ্রমে ভরণপোষণ করা হয়। এদিন মন্ত্রী এসে নতুন পোশাক দেওয়ার সকলেই ভীষণ খুশিও। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বারেবারেই নিজে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদেরও সেই একই পথে চলার কথা বলেছেন বলে দাবি শাসকদলের। এমনকি, মানবিকতার পথ বেয়ে মানুষের সেবা করতেই ক্ষমতায় এসেছে মা-মাটি-মানুষের সরকার – এমনটা বহুবার জনসমক্ষে দাবী করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নেত্রীর সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করতেই দেখা গেল সতীর্থদের। ফলে, লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে এই ঘটনাগুলো ইতিবাচক ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -