গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল বিধায়ক – চমকে যাওয়া রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু তীব্র চাপান-উতোর নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য February 10, 2019 রাজ্য-রাজনীতিতে অভাবনীয় ঘটনা – ভর সন্ধ্যেবেলায় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন শাসকদলের কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা নদীয়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস। কিছুদিন আগেই জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের উপর একইরকম প্রাণঘাতী হামলা হলেও, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু, এবার একেবারে নিজের পাড়াতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিতে হল সত্যজিৎ বাবুকে। বরাবরই দক্ষ সংগঠক ও ডাকাবুকো নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। ২০১৫ সালে প্রথম উপনির্বাচনে জিতে বিধানসভায় আসেন তিনি। এরপর ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধানসভায় পা রাখেন তিনি। সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য – শাসকদলের যুব শাখার জেলা সভাপতির মত গুরুত্ত্বপূর্ন পদেও আসীন হয়েছিলেন। কিন্তু, পাড়ার সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রাণ দিতে হল তাঁকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে ঠিক কিভাবে হত্যা করা হল – তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। একেক সংবাদমাধ্যমের বয়ান একেক রকম – এই নিয়ে সরকারিভাবে পুলিশের বয়ান এখনও জানা যায় নি। তবে নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের কথায়, হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি গ্রামে একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সত্যজিৎবাবু, গৌরীশঙ্করবাবু নিজে ও রাজ্যের মন্ত্রী রত্না কর ঘোষ। গৌরীশঙ্করবাবুর শরীর ভালো না থাকায় তিনি অনুষ্ঠানের স্থান থেকে বেরিয়ে যান আগেই। এরপর মন্ত্রী রত্নাদেবী মঞ্চ থেকে নেমে যেতেই দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে সত্যজিৎবাবুকে হত্যা করে ভিড়ের মধ্যে মিশে যান। গৌরীশঙ্করবাবু এই ঘটনায় সরাসরি দায়ী করেছেন মুকুল রায়কে। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটান যারাই ঘটিয়ে থাকুক, তাদের পিছনে মুকুল রায়ের হাত আছে। সম্প্রতি নদীয়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মন্ডল বা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত দেখছেন। যদিও, বিজেপির তরফে এই সব দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এই ঘটনা দুঃখজনক, তবে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ নেই – ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। তবে রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছেন – এই ঘটনা রাজ্য-রাজনীতিতে কার্যত নজিরবিহীন – ফলে সামগ্রিক ঘটনায় কেঁপে গেছে দার্জিলিং থেকে দীঘা সর্বত্র! আপনার মতামত জানান -