এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ময়নাতদন্তের শেষে অন্তিম যাত্রায় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া শাসকদলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস

ময়নাতদন্তের শেষে অন্তিম যাত্রায় গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া শাসকদলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস

এখনও যেন ঘোর কাটছে না বঙ্গবাসীর – গতকাল ভর সন্ধ্যেবেলায় প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে প্রাণ যায় শাসকদলের কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা নদীয়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাসের। গতকাল, হাঁসখালি থানার ফুলবাড়ি গ্রামে একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎবাবু।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় বিধায়ককে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি, পরে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা কৃষ্ণগঞ্জ তো বটেই – একই সাথে গোটা রাজ্য-রাজনীতি। আজ সকালে, প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের দেহের ময়নাতদন্ত হয় শক্তিনগর হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, একটি গুলি চালানো হয়েছিল। মাথায় ২টো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

গুলি মাথা এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে বেরিয়ে যায় – খুলির ভিতর কোনও গুলি পাওয়া যায়নি। ফলে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে গুলি করার তত্বই মান্যতা পাচ্ছে। আর তারফলে – প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে গুলি যে চালিয়েছে সেকি বিধায়কের পূর্ব-পরিচিত? নাহলে এত কাছ থেকে গুলি চালালেও, তা নিয়ে বিধায়ক বা তাঁর আশেপাশে উপস্থিত তাঁর পরিচিতরা তা ধরতে পারলেন না কেন?

এদিকে, প্রয়াত বিধায়কের দেহ ময়নাতদন্তের পরে নিয়ে যাওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ফুলবাড়ির বাসভবনে। যে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দিতে হয় শাসকদলের বিধায়ককে, সেখানেই সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য বিধায়ককে শায়িত রাখা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে গেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও নদীয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেস পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল।

অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সাংগঠনিক ক্ষমতাসম্পন্ন নেতা ছিলেন অস্ত্যজিৎ বিশ্বাস। আর তাই বিধায়ক পদের পাশাপাশি দল তাঁকে নদীয়া জেলার যুব সভাপতির দায়িত্বও দিয়েছিল। প্রিয় নেতাকে অন্তিম বিদায় জানাতে সকাল থেকেই উপচে পড়ছে ভিড় – দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষের দল সামাল দিতে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, এখন থেকেই অন্তিমযাত্রায় যাবেন প্রয়াত বিধায়ক। এদিকে, সত্যজিৎবাবুর খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এর দায় বিজেপির উপর, বিশেষ করে মুকুল রায়ের উপর চাপিয়েছেন। যদিও, বিজেপির তরফে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। আজ শেষ শ্রদ্ধা জানবার পর তৃণমূল কংগ্রেসের নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল, ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবি জানান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!