এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের অন্দরেও চাপানউতোর মাঝেই বিদ্রোহী বিধায়কের বাড়িতে হেভিওয়েট বিরোধী নেতা,

তৃণমূলের অন্দরেও চাপানউতোর মাঝেই বিদ্রোহী বিধায়কের বাড়িতে হেভিওয়েট বিরোধী নেতা,


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের ব্যাপক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একের পর এক বিধায়ক দল পরিচালনা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। কিছুদিন আগেই কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামী দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। যেখানে তৃনমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দেন। আর এবার সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার গলায় সেই একই কথা শোনা গিয়েছে।

যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে যখন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কিছুটা হলেও সমস্যায়, ঠিক তখনই সেই মিহির গোস্বামীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন কংগ্রেস নেতা দেবপ্রসাদ রায়। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এক বিধায়কের বাড়িতে কংগ্রেস নেতার উপস্থিতিতে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি এবার মিহিরবাবু কংগ্রেসে যোগ দেবেন!

বস্তুত, তাকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই তার বাড়িতে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে। আর এবার সেই মিহির গোস্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হতে দেখা গেল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাকে। তবে মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে দেবপ্রসাদ রায় দুজনেই জানিয়ে দিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ রূপে সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। কিন্তু সময় নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। যে সময় মিহির গোস্বামী দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, সেই সময় তার বাড়িতে বিরোধী নেতার উপস্থিতি জল্পনাকে ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

 

কিন্তু যদি একের পর এক বিধায়ক এভাবে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হন তাহলে তো বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখানে তৃণমূল চরম অস্বস্তিতে পড়বে! কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে জেলা নেতৃত্ব? এদিন এই প্রসঙ্গে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। যেখানে তিনি বলেন, “জগদীশ বসুনিয়া কি বলেছেন, আপনারা তার কি ব্যাখ্যা করেছেন, জানি না। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের নানা ব্যাখ্যা হয়েছে। ওটা তার ব্যক্তিগত মতামত। আমরা পর্যালোচনা করেছি। আবেগবশত কে কি বলেছেন, তা নিয়ে দলীয় পর্যায়ে আলোচনা হবে।” এদিকে মিহির গোস্বামীকে নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন পার্থপ্রতিম রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “আমরা একথা বলেছি, মিহিরবাবু দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক এবং নেতৃত্ব। আমরা একথাও বলব, নেত্রী আমাদের কাছে আবেগ। তার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলে নিশ্চিত ভাবে প্রতিবাদ হবে। সেটা কেউ করেন না কেন!” অর্থাৎ পার্থপ্রতিম রায়ের এই মন্তব্য থেকে কার্যত পরিষ্কার যে, দলের বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য করলে, তা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ শামিল হবে। তবে যেভাবে কোচবিহার জেলায় একের পর এক বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হতে শুরু করেছেন, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ অস্বস্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে শাসক দলের।

অনেকেই বলছেন, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসকে দলীয় গঠনতন্ত্র রক্ষার জন্য আরও বেশি করে কঠোর মনোভাব পোষণ করতে হবে কেননা যেভাবে বিধায়করা দলের পরিচালনা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলছেন তাদের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কার্যত প্রকাশ্যে চলে আসছে আর যত এই সমস্ত ঘটনা ঘটবে ততই অস্বস্তি বাড়তে পারে ঘাসফুল শিবিরের। যার ফায়দা তুলে নিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে বিদ্রোহী বিধায়করা কি করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!