এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল বিধায়কের পোস্টকে কেন্দ্র করে সিপিএম-বিজেপি একজোট! জোর চাঞ্চল্য!

তৃণমূল বিধায়কের পোস্টকে কেন্দ্র করে সিপিএম-বিজেপি একজোট! জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যত দিন গেছে, ততই তাদের অস্তিত্ব ম্লান হতে শুরু করেছে। একসময় গোটা রাজ্যের শাসনভার সামলানো বামেরা আজ কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত। সেভাবে কোনো নির্বাচনে তারা ভালো ফল করতে পারছে না। সেই জায়গায় রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে চরম লড়াই দিতে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বর্তমানে কমবেশি প্রতি জায়গাতেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়।

যেখানে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ তৃণমূলের অনেক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় না থাকলে যারা চাকরি দেওয়ার নাম করে বাড়ি করে টাকা তুলেছেন, সেই সমস্ত নেতারা বাড়িতে থাকতে পারবেন না।” স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের এই বিধায়কের মন্তব্যে রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায় তৃণমূলের অন্দরমহলে।

অস্বস্তি বাড়ে ঘাসফুল শিবিরের। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যে মাঠে নামবে তা বুঝতে বাকি ছিল না কারোরই। তাই এই ঘটনার পরেই উদয়ন গুহর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়ে সিপিএমের ছাত্রসংগঠন এসএফআই। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার একটি ফেসবুক পোস্ট করেন কোচবিহার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শুভ্রালোক দাস। যেখানে তিনি তৃণমূল বিধায়কের উদ্দেশ্যে লেখেন, “আপনি তো ভোটে জেতা জনপ্রতিনিধি। আপনি যদি জেনে থাকেন, কারা চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে, তাদের নামটা পুলিশে দিয়ে দিন। আপনি যদি তা না পারেন, মানুষ আপনাকেও লুটেরাদের সর্দার হিসেবে ধরে নেবে।”

অভিযোগ, এসএফআই নেতা শুভ্রালোক দাস এই পোস্ট করার পরেই তার বাড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়। আর এরপরেই বিরোধী দল হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে সৌজন্যতার খাতিরে সেই এসএফআই নেতার বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। এদিকে এসএফআই নেতার বাড়িতে বিজেপি নেতারা এসেছে এই খবর শুনেই বৃহস্পতিবার সেই শুভ্রালোক দাসের বাড়িতে উপস্থিত হন এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ ঘোষ।

যেখানে তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, “সিপিএম এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ, এই ঘটনা তার প্রমাণ।” আর এতেই আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ তৃণমূলের নেতা জয়দীপবাবু এই ঘটনায় সিপিএম এবং বিজেপিকে সমঝোতাকে সামনে তুলে ধরতে চাইলেন। যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতার তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “গতকাল রাতে যারা শুভ্রালোকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল, তাদের মুখগুলো অন্ধকারে দেখা যায়নি। এদিন সকালে তা পরিষ্কার হয়ে গেল।” অর্থাৎ বিজেপি নেতার এই কথাতে স্পষ্ট যে, 1 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর যেহেতু এভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন, সেহেতু তিনিই এই এসএফআই নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন।

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এসএফআই নেতার বাড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠার পরেই যেভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে সেই এসএফআই নেতার বাড়িতে এসে তাদের পাশে দাঁড়ানো হল, তাতে তৃণমূল এখন বিজেপি এবং সিপিএমের সমঝোতার অভিযোগ করছে। তবে যদি সত্যি সত্যিই সেরকম কোনো ব্যাপার হয়ে থাকে, তাহলে আগামী দিনে এই সমঝোতা তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত ভয়াবহ এবং বিপদজনক হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

কেননা গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের সিংহভাগ ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। আর তার কারণেই বিজেপি এই সাফল্য পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই সৌজন্যতা যদি ভবিষ্যতে ভোটের সমীকরণে প্রভাব ফেলে, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে তা অশনি সঙ্কেত হিসেবেই দেখা দেবে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!