এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভরা সভায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে !

ভরা সভায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তাদের দুজনের মতানৈক্য নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় দুজনের তরজা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের শাসকদলের দুই হেভিওয়েট নেতার তরজা যে প্রকাশ্যে চলে আসবে, তা সত্যিই কল্পনা করা যায়নি। সূত্রের খবর, এবার করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত প্রশাসনিক বৈঠকে তীব্র বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং ইংরেজবাজার পৌরসভার পৌর প্রশাসক তথা তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। যাকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গেছে, রবিবার দুপুরে মালদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কনফারেন্স রুমে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে জেলাশাসক সহ কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, নীহার রঞ্জন ঘোষ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই আলোচনা পর্বে নীহারবাবু এবং কৃষ্ণেন্দুবাবুর মধ্যে তীব্র গন্ডগোল বাধে বলে খবর।

তবে হঠাৎ কি এমন ঘটনা ঘটল, যার জন্য তৃণমূলের এই দুই নেতা প্রকাশ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন? এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “সভায় অন্যরা যখন বক্তব্য রাখেন, তখন আমি কথা বলিনি। কিন্তু আমি যখন বালুচরে ইংরেজবাজার পৌরসভার উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অংশটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার কথা বলছিলাম, তখন নীহার বাধা দেন। আমি তারই প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করে পাল্টা নিজের যুক্তি খাড়া করে তৃণমূলের নীহার রঞ্জন ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “ওই দোতলার একটি ঘর দখল করা ছিল। পরে তা দখলমুক্ত করা হয়। পুরো অংশটিই নেয় সরকারি হোম কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হোম স্থানান্তরিত হলেও ভবনটির চাবি হোম কর্তৃপক্ষের কাছেই আছে। একথা বলতেই কৃষ্ণেন্দু উল্টোপাল্টা কথা বলতে থাকেন।”

এদিকে দুই হেভিওয়েট নেতা জেলা প্রশাসনের ডাকা এই বৈঠকে তরজায় জড়িয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা তা সামাল দেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয় স্তরে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং নিহার রঞ্জন ঘোষের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। দলের অন্দরে তা নিয়ে বারবার চর্চা হয়েছে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে তাদের সতর্ক করেছেন। কিন্তু তার পরেও যে তারা শোধরাননি, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল।

কিন্তু জনসাধারণ যখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে, তখন নিজেদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব যেভাবে জেলা প্রশাসনের বৈঠকেঝ দুই নেতা তুলে আনলেন, তা সত্যিঊ দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বৈঠকে কেন তারা নিয়ে আসবেন কেন! কেন তারা এই এভাবে তরজায় জড়িয়ে পড়বেন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় দলের দুই হেভিওয়েট নেতার তরজা প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন তৃণমূল যে চরম বিপাকে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!