এবার কি বিজেপিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট বিধায়ক, জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা রাজ্য July 4, 2019 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় দলের কাউন্সিলরদের কর্মশালায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “চুরি করে ধরা পড়লেই অন্য দলে চলে যাচ্ছেন। এখনই চলে যান যাঁদের যাওয়ার। তবে মনে রাখবেন দল ছেড়ে দিলেও বাঁচতে কিন্তু পারবেন না।” মুকুল রায় এর পাল্টা কটাক্ষ করে দাবি করেছিলেন যে , ‘আস্ত আস্তে যোগদান করাচ্ছি, যাতে মমতার ব্যাথা কম লাগে।’ আর ফের কি মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাথা দিতে চলেছেন মুকুল রায়। এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজ্যের অলিতে গলিতে। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তা বাস্তবায়িত হল। হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরানো হল তপন দাশগুপ্তকে। তপনবাবুকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে দিলীপ যাদবকে। এর আগে তৃণমূলের কার্যকরি সভাপতি হিসেবে আরামবাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এর পরেই তবে রাজনৈতিকমহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে যে সভাপতি পদ পাশাপাশি মন্ত্রিত্ব হারানো নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি সংকটে? নাকি জমি ফিরে পেতে বিজেপিতে যাবেন ? যদিও গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, তপন দাশগুপ্ত নাকি যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছেন বিজেপি শিবিরের সঙ্গে। ফলে জল্পনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে তৃণমূল শিবিরের তপন দাশগুপ্তকে নিয়ে। তবে তপন শিবির এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিজেপিরও কোনো হেলদোল নেই। তবে সবটাই গুঞ্জন। প্রসঙ্গত, এর আগে বালুরঘাট কেন্দ্রে অর্পিতা ঘোষ হেরে যাওয়ার পর দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে সরিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বিপ্লব মিত্র অনুগামীদের নিয়ে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। রাজ্যজুড়ে চলা দলবদলের এই হাওয়ায় তপন দাশগুপ্তও সেইরকমই কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছেন কিনা সেইদিকে নজর থাকছে সবার। আপনার মতামত জানান -