এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলীয় পদ থেকে ইস্তফা মমতা-ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের! বিজেপি যোগের জল্পনা আরও তীব্র

দলীয় পদ থেকে ইস্তফা মমতা-ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের! বিজেপি যোগের জল্পনা আরও তীব্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে যেন মুসলপর্ব শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর একের পর এক নেতার বিদ্রোহ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর এবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল। তবে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলিতে সভা করতে গেলেও সেখানে তিনি আমন্ত্রণ পাননি বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

যারপরেই মঙ্গলবার তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অবশেষে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন প্রবীর ঘোষাল। সূত্রের খবর, আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। আর সেখানেই হুগলি জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। তবে দলীয় পদ থেকে তিনি ইস্তাফা দিলেও, বিধায়ক পদে থাকছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রবীরবাবু।

স্বাভাবিকভাবেই তার এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীর ঘোষাল বলেন, “নেত্রীর কথা অনেকেই শোনেন না। দলে যোগ্য ব্যক্তিরা মর্যাদা পাচ্ছে না। তাই দলীয় পদে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ আমি দলের হুগলি জেলার কোর কমিটি এবং মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।” একাংশ বলছেন, এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকার সুবাদে প্রথমে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত বিধায়ক রয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রবীর ঘোষাল সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। তাহলে কি এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রবীরবাবুর মত নেতারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন! আর তাই তারা প্রাথমিক কাজ হিসেবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। বিশ্লেষকরা বলছেন, হাওড়া থেকে শুরু করে হুগলি, বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। একের পর এক নেতা বিদ্রোহী হতে শুরু করেছেন।

তবে হঠাৎ করেই প্রবীর ঘোষালের মত হেভিওয়েট নেতাদের এই ধরনের সিদ্ধান্ত যে যথেষ্ট চিন্তায় ফেলে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে, তা বলাই যায়। দলের কোর কমিটি থেকে শুরু করে মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শুধুমাত্র বিধায়ক থেকে কি নিজেকে মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ বলে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রবীর ঘোষাল? এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। কিন্তু ভবিষ্যতে তিনি অনেক কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এবার প্রবীর ঘোষালের পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!