এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বেআইনি কাজ নিয়ে দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলেরই বিধায়ক! অস্বস্তি বাড়ছে দলে

বেআইনি কাজ নিয়ে দলীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলেরই বিধায়ক! অস্বস্তি বাড়ছে দলে

সবুজ বাঁচাতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নামতে দেখা দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় নিজেদের সবুজরক্ষক হিসেবে বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী থেকে বিধায়করা। কিন্তু নীচুতলায় যে এখনও পর্যন্ত সেই বার্তা দিতে পারেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, তা এবার সবুজছেদনকে কেন্দ্র করেই স্পষ্ট হয়ে গেল। যে ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের রোষের মুখে পড়তে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে।

যা নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে গোটা ঘাসফুল শিবির। জানা গেছে, রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুরে বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই সেখানে অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। মূলত, জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আমবাড়ি থেকে বাগড়ামোড় হয়ে পেউলাবাড়ি অবধি প্রায় 6 কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা চওড়া হওয়ার কারণে সেখানে অনেক গাছই রাস্তার মাঝে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে সেই কাজগুলো বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সমাজে তারা সকলে বৃক্ষপ্রেমিক হিসেবে বার্তা দিলেও, কেন এভাবে গাছ কাটা হচ্ছে, তা নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এদিন তিনি বলেন, “শিকারপুরের ভান্ডারবাড়ী এলাকায় রাস্তার ধারে একাধিক গাছ বেআইনিভাবে কাটা হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অবৈধ গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত বলে শুনেছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, “আমাদের দল অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আর দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দলীয় বিধায়কের এহেনে হুঁশিয়ারি এখন প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যদিও বা এই ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিধান রায়। এদিন তিনি বলেন, “গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”

তাঁর বক্তব্য, “ষড়যন্ত্র করে আমার নাম গাছ কাটার বিষয়ে জড়ানো হচ্ছে। নিজস্ব জমির কাগজ দেখিয়ে গাছ কাটার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আবেদন করা হয়েছিল। প্রধান অনুমতি দিয়েছেন।” তবে এই ব্যাপারে ঠিক কি বলছেন সেই শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান! এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধান রঞ্জিতা রায় বলেন, “প্রধান গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারেন না। আমার কাছে গাছ কাটার জন্য আবেদন করা হলে সেটা বনদপ্তরকে আমি ফরোয়ার্ড করেছি।”

তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যারা গাছ কাটছে, তারাই বলতে পারবেন তারা বনদপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন কিনা।” আর বৃক্ষছেদন নিয়ে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়ায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজগঞ্জের স্থানীয় বিধায়ক পঞ্চায়েত সদস্যের দিকে, পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের দিকে এবং প্রধান বনদপ্তরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় এই ব্যাপারে কে দায়ী, তা বোঝা ভারী মুশকিল। তবে বিধায়ক বনাম পঞ্চায়েত সদস্যের দ্বন্দ্ব যে চরম আকার ধারণ করল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!