এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >   দলের পর্যবেক্ষকের সামনেই দুই তৃণমূল বিধায়কের তুমুল গন্ডগোল! অস্বস্তিতে শাসক দল

  দলের পর্যবেক্ষকের সামনেই দুই তৃণমূল বিধায়কের তুমুল গন্ডগোল! অস্বস্তিতে শাসক দল

লোকসভা নির্বাচনে সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছিল। যেখানে দলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পেছনে অন্তর্কোন্দল এবং দুর্নীতি রয়েছে বলে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞরা। ফলে সেদিক থেকে লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের এই খারাপ ফলাফলের পরেই অনেক জেলায় সাংগঠনিক রদবদল এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, দলের গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু তারপরেও দলের কোন্দল যে মেটেনি, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের পরেই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পদে বদল আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে অরূপ বিশ্বাসকে সরিয়ে এই জেলার পর্যবেক্ষক করেন মন্ত্রী মলয় ঘটককে। আর দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন প্রথম আলিপুরদুয়ারে পা রাখেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক। কিন্তু জেলায় পা রেখে দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে গিয়েই তিনি অনুভব করলেন, দলের গোষ্ঠী কোন্দল।

জানা যায়, এদিন মলয়বাবু দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে দলের পতাকা তুলে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। কখনও জেলা পরিষদের বৈঠক, আবার কখনও বা জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দুই তৃণমূল বিধায়কের গন্ডগোলে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় মন্ত্রী মলয় ঘটককে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর সাথে কুমারগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক জেমস কুজুরের চরম বাদানুবাদ শুরু হয়। তৃণমূল বিধায়ক জেমস কুজুরের ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বদের অভিযোগ, দলের এই বৈঠকে সৌরভ চক্রবর্তী জেমস কুজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী থাকার সময় জেমস কুজুর জেলা উন্নয়নের জন্য সেভাবে টাকা দিতে পারেননি। আর এতেই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেই জেমস কুজুর।

পাল্টা সৌরভ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “জেলার উন্নয়নে আমি নানা প্রকল্প নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই কাজ করার আগেই তো আপনারা আমায় মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন।” আর এতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুই তৃণমূল বিধায়কের একে অপরের বিরুদ্ধে করা মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটককে। যদিও বা দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে কোনরূপ দ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ তৃণমূলের এই দুই বিধায়ক।

এদের এই প্রসঙ্গে সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বৈঠকে আমার সঙ্গে কুমারগ্রামের বিধায়কের সমস্যা হওয়া তো দুরের কথা, তেমন কোনো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেমস কুজুর বলেন, “দলের আভ্যন্তরীণ বৈঠক নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না। কিছু বলার থাকলে দলের জেলা সভাপতি বলবেন।”

কিন্তু সত্যিই কি ভেতরে কোনো গণ্ডগোল হয়নি! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বৈঠকে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।” তবে তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে যে কথাই বলুন না কেন, যদি দলের বৈঠকে কোনো গন্ডগোল নাই হত, তাহলে এরকম কথা বাইরে ভাসছে কেন! এখন এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!