মেলেনি বারকোড, অপমানিত হেভিওয়েট দুই তৃণমূল বিধায়ক, ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু গুঞ্জন ! কলকাতা রাজ্য March 2, 2020 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পর্যুদস্ত হয়েছিল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে। তবে ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূলের তরফে দলের রণনীতিকার করা হয়েছিল বিশিষ্ট ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে। আর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নিয়েই একের পর এক চমকপ্রদ কর্মসূচী দিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তি ফেরাতে চেষ্টা করেছিলেন। ইতিমধ্যেই সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের তরফে একটি কর্মসূচি হতে চলেছে। যে কর্মসূচিতে কোনো চমপ্রদ রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে ইতিমধ্যেই প্রবেশের জন্য জেলাস্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। যে পত্রের সাথে বারকোড দিয়ে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে করা হয়েছে কড়াকড়ি। তৃনমূলের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে পদাধিকারীদের নাম দিয়ে সেই বারকোড ইতিমধ্যেই সকলের কাছে পৌঁছে গেছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই বারকোড পাননি রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় এবং ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। যা নিয়ে এখন ব্যাপকভাবে সরব হয়েছেন তারা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তারা জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের কাছে তাদের অভিযোগ জানিয়েছে। আর দলের দুই বিধায়ক এভাবে বারকোড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। যেখানে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মোতাবেক তৃণমূলের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের এই বারকোড দেওয়া হচ্ছে, সেখানে জলপাইগুড়ি জেলার এই দুই বিধায়ক তা থেকে বঞ্চিত হলেন কেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই দুই বিধায়ককে জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যানী তাদের সঙ্গে কথা না বলে একটি তালিকা প্রশান্ত কিশোরের অফিসে পাঠিয়েছেন। আর সেই মতই বারকোড পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে খগেশ্বর রায় বলেন, “অরূপ বিশ্বাস আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, তেশরা মার্চ জলপাইগুড়ি এসে আমাদের সঙ্গে বসবেন। তারপর আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবব।” তাহলে কি তারা পদত্যাগ করবেন! এদিন এই ব্যাপারে অবশ্য কোনো মন্তব্য করেননি আরেকজন তৃনমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। তবে জেলা সভাপতির অঙ্গুলিহেলনেই যে তাদের এই বারকোড পাঠানো হয়নি, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত তারা। তবে এই ঘটনাই যদি চলতে থাকে, তাহলে সামনের নির্বাচনে তৃণমূল কিভাবে ভালো ফল করবে, তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -