জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারে কি এবার ভরসা ছত্রধর, পাকাপাকিভাবে নামছে ঝান্ডা হাতে ময়দানে ? পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য July 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একসময় লালগড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ লড়াই, আন্দোলনে সরকারের নাভিশ্বাস বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে তার ভূমিকা ছিল যথেষ্ট। যা পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে যথেষ্ট মাইলেজ পাইয়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে বাম সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ দিয়ে তাকে শ্রীঘরে পোড়া হয়েছিল। তবে অনেকেই আশা করেছিলেন, 2011 সালে রাজ্যে পরিবর্তনের পর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার স্থাপন হলে হয়ত বা শ্রীঘর থেকে মুক্তি পাবেন ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। যার ফলে লালগড়ের অনেক মানুষের মধ্যে ছত্রধর যেভাবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে, তাতে তৃণমূল তাকে কেন এইভাবে আটকে রাখছে, কেন তাকে ছেড়ে দিতে পারছে না! তা নিয়ে তোলা হয়েছিল প্রশ্ন। তবে কিছুদিন আগেই অবশ্য সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে লালগড়ে ফেরেন সেই ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু স্বাভাবিক জীবন পালন করলেও, যে কারণে তাকে এতদিন বন্দীদশায় কাটাতে হয়েছে, সেই রাজনীতির মধ্যে তিনি আবার প্রবেশ করবেন, নাকি নিজের মত করে জীবন যাপন করবেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। সাম্প্রতিক কালে বেশকিছুবার ছত্রধর মাহাতোকে দলে টানার জন্য তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তারপরেও সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি ছত্রধর মাহাতোকে। তবে এবার পাকাপাকি ভাবে তার তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা হলেও গুঞ্জন তৈরি হতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, কিছুদিন আগে গোপীবল্লভপুর 1 ব্লকে তৃণমূলের একটি কর্মীসভায় যোগ দিয়েছিলেন ছত্রধরবাবু। আর সেখানেই তিনি বলেন, “তৃণমূলের রাজনীতিতে মানুষের কাজ করতে গেলে পদটাও প্রয়োজন। নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই হবে।” অর্থাৎ পদে থেকে তিনি যে কাজ করতে আগ্রহী, তা তার এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সকলের কাছে। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু সমীকরণ অবশ্য তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন ছত্রধর মাহাতো। আবার অনেকে বলছেন, তৃণমূলের অনেকেই চাইছেন না যে, ছত্রধর মাহাতো সক্রিয়ভাবে তাদের দলের সামনে আসুক। কেননা বিগত দিনে বাম সরকারের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে মাওবাদী নাশকতার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। তাই তাকে যদি এবার দলের সামনের সারিতে আনা হয়, তাহলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। তবে যেহেতু ছত্রধর মাহাতোর একটি প্রভাব আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে রয়েছে এবং বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সেভাবে আদিবাসীদের সমর্থন পায়নি, তাই তাকে কাজে লাগালে আদিবাসীদের সমর্থন অনেকটাই তৃণমূলের পক্ষে আসবে বলে মনে করছে একাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমদিকে ছত্রধর মাহাতো জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নিঃসন্দেহে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এবার যেভাবে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি পদ পাওয়ার ব্যাপারেও কিছুটা পরোক্ষে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তাতে তৃণমূল এখন তার ব্যাপারে কি ভাবছে, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। যদিও বা এই ব্যাপারে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন বলেন, “ছত্রধরবাবু দলে আছেন। দলীয় কর্মসূচিতেও যাচ্ছেন। তাকে দলীয় দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে।” তবে জেলা নেতৃত্ব রাজ্যের কাধে সমস্ত বিষয়টি ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, এখন ছত্রধরকে নিয়ে তৃণমূল ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -