এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > বিধায়কের তত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দুঃখপ্রকাশ সহ টুইট করে ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৃণমূল সাংসদ

বিধায়কের তত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দুঃখপ্রকাশ সহ টুইট করে ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৃণমূল সাংসদ

গোটা বিশ্বের মত বাংলাতেও করোনার থাবা ক্রমশ প্রখর হয়ে উঠেছে। আপাতত গৃহবন্দী ও সামাজিক দূরত্বের মাধ্যমেই একে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই লকডাউনে যাতে সাধারণ মানুষ মুশকিলে না পড়েন তাই আগাম ফ্রি রেশনের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

এদিকে ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, এই কঠিন সময়ে বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁরা ঘরে বসে রাজনীতি করছেন। মানুষের পাশে থেকে সেবা করছে শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শাসকদলের সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের ভাই। ঘাটালের দুবারের সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী তথা দেবের খুড়তুতো ভাই বিক্রম অধিকারী পেশায় বাসের কন্ডাক্টর। তিনি জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে কোনোরকমে জমানো টাকায় দিন চলছিল, কিন্তু তা ফুরিয়েছে। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছিলাম। মায়ের বিধবা ও বার্ধক্য ভাতার জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। কই কিছুই তো আসেনি!

বিক্রমবাবু আরও জানিয়েছেন, কারও কাছে কিছু না পেয়ে সিপিএম পার্টির লোকেদের গিয়ে বলি, ওঁরা এসে চাল, আলু, আটা, তেল দিয়ে গেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় জানান, আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু পারছি মানুষকে সাহায্য করছি। দেবের ভাই হিসেবে নয়। ওই পরিবারকে আমাদের কর্মীরা ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে তাঁর কারণ ওঁরা আর্থিক ভাবে একেবারেই পিছিয়ে পড়া। স্বাভাবিকভাবেই, স্বয়ং হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের ভাইকেই রাজ্য সরকার বা শাসকদল ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না সামনে আসাতে শুরু হয়েছে শোরগোল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সাংসদকে নিয়ে দামেঘশুরু হয় নানা আক্রমণ। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেন দেব। গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে কেশপুরের পৈতৃক ভিটেয় থাকা কাকিমা, ভাই ও পরিবারের অন্যদের জন্য রেশন পৌঁছে দিলেন অভিনেতা তথা ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব।আজ রবিবার টুইট করে এই গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে দেব জানান, এদিন সকালে কেশপুরের মহিষদা গ্রামের বাড়িতে রেশন পৌঁছে গিয়েছে। প্রমান স্বরূপ, একটি ছবিও টুইট করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে দেবের প্রতিনিধি হিসেবে দুই ব্যক্তি কাকার ছেলের হাতে রেশনসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, এই খবর সামনে আসতেই এই সব দাবীই উড়িয়ে দিয়েছিলো তৃণমূল। বিরোধীরা কুৎসা ও চক্রান্ত করছে – এমন তত্ত্বই সামনে এনেছিল শাসকদল। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শিউলি সাহা এই নিয়ে দাবি করেছিলেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিপিএমের উস্কানিতে বিক্রম অধিকারী এসব বলেছেন। যিনি অভিযোগ করছেন তৃণমূল ত্রাণ দেয়নি, তিনি কি স্থানীয় স্তরে দলের কাউকে বলেছেন? আমি খোঁজ নিয়েছি কাউকে বলেননি। একজনও লোক নেই তৃণমূলের কাছে খাবার চেয়েছেন অথচ পাননি। কিন্তু দেবের দুঃখপ্রকাশ করে ত্রাণ পৌঁছানোয় তৃণমূলের সেই তত্ত্বয় যে কিছুটা হলেও প্রশ্নচিহ্ন পড়লো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!