প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একথা প্রায় সবাই জানেন, তৃনমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যার গুরুত্ব সবথেকে বেশি তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর গড়ে বিরোধীরা মাথা তোলার সাহস পায় না। অধিকারী পরিবারের তিল তিল করে গড়ে তোলা এই সাম্রাজ্যে কাক পক্ষী বসলেও টের পান সেই পরিবারের সদস্যরা। ফলে তাদেরকে এড়িয়ে মেদিনীপুরে অন্তত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। আর এহেন প্রভাবশালী পরিবারের এক সদস্য তথা হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি শিশির অধিকারীর পুত্র তথা তৃণমূলের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে দুবার ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, “আপনাকে রাজনৈতিকভাবেই খুন করা হবে দিল্লীর বাংলোতে।” আর এই উড়ো‌ ফোন পাওয়ার সাথে সাথেই রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় অধিকার পরিবার সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। যে পরিবারের দাপটে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খায়, সেই পরিবারের অন্যতম সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদকে এভাবে ফোন করে হুমকি দেওয়া নিয়ে এখন রীতিমত চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয়েছে নানা মহলে।

তবে দিব্যেন্দু অধিকারীর সাথে অতীতেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা কখনই কাম্য ছিল না। যেমন কিছু বছর আগেই হলদিয়া থেকে নিজের নির্বাচনী কর্মসূচি শেষ করে কাঁথিতে ফিরছিলেন দিব্যেন্দুবাবু। আর তখনই ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছিলেন তিনি। এমনকি প্রায় এক বছর আগে এক যুবক ছুড়ি হাতে তার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর এবার সেই দিব্যেন্দু অধিকারীর ফোনে হুমকি ফোন আসায় এবং দিল্লিতে তাকে রাজনৈতিক ভাবে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে দিব্যেন্দুবাবু বলেন, “হুমকি ফোন এসেছিল। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করবে।” তবে তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যে পরিবারের প্রভাব সবথেকে বেশি, সেই অধিকারী পরিবারের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর ফোনে এই রকম হুমকি ফোন এখন রাজনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে। কে বা কারা এই ফোন করল এবং এর পেছনে উদ্দেশ্য কি, এছাড়াও তার রহস্য সন্ধান কিভাবে করে পুলিশ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।