এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনের মুখে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ বনাম বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

নির্বাচনের মুখে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ বনাম বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

একসময় সিপিএমের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তৃণমূলের ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়ক হয়েছেন রেজ্জাক মোল্লা। তবে শুধু বিধায়ক নয়, বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রীও তিনি। আর ভাঙ্গড়ের এই তৃণমূল বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করার পর থেকেই সেখানকার দুর্দিনের তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত আরাবুল ইসলামের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে।

সম্প্রতি সেই দ্বন্দ্ব আরও বৃদ্ধি পায়। জানা যায়, কিছুদিন আগেই শোনপুর বাজারে নিজের অনুগামীদের নিয়ে একটি প্রকাশ্য সভা করে ভাঙ্গড় 2 ব্লকের তৃণমূল সভাপতি হিসেবে নিজের অনুগামী আব্দুর রহিমের নাম ঘোষণা করেন রেজ্জাক মোল্লা। আর এতেই বিতর্ক আরও বৃদ্ধি পায়। একটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে তিনি কিভাবে ব্লক সভাপতি নিয়োগ করলেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

আর এরপরই সেই রেজ্জাক মোল্লার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত আরাবুল ইসলাম এবং ওহিদুল ইসলামকে পাশে বসিয়ে রেজ্জাক মোল্লার ঘোষণাকে খারিজ করে দিতে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীকে। যে ঘটনায় বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা বনাম শুভাশিষ চক্রবর্তীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন শোনপুর বাজারে একটি সভার মাধ্যমে সেই আরাবুল ইসলাম এবং অহিদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রেজ্জাক মোল্লার করা ঘোষণাকে রীতিমতো খারিজ করে দিয়ে অহিদুল ইসলামকে ব্লক সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “দলের একটা গাইডলাইন রয়েছে। তা সকলকে মেনে চলতে হবে। যে যার খুশি মতো কাজ করে যাবে, তা কখনই বরদাস্ত করা হবে না।”

শুভাশিস চক্রবর্তী মন্তব্যেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা তাহলে কি তিনি রেজ্জাক মোল্লার ব্লক সভাপতির ঘোষণায় অত্যন্ত ক্রুদ্ধ? আর তাই পরোক্ষে সেই বিধায়ককে কথা শুনিয়ে দিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে নানা গুঞ্জন ছড়ালেও ভাঙ্গড় 2 ব্লকের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাকে গুলি করে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সেই সময় অনেকে আরাবুলকে বলির পাঠা করার জন্য বলেছিল, ওই ঘটনার পেছনে আরাবুলের হাত রয়েছে। এটা ডাহা মিথ্যা। কারণ কে বা কারা গুলি করে মারতে চেয়েছিল, তা জানতে চায় ভাঙরের মানুষ। আসলে সামনে বন্ধুর ছদ্মবেশে অনেকেই পেছন থেকে ছুরি মারতে চায়। সময় এলে তা ফাঁস হয়ে যাবে।”

এদিকে এই ব্যাপারে পরোক্ষে রেজ্জাক মোল্লা এবং তার অনুগামীদের খোঁচা দেন আরাবুল ইসলাম। এদিন তিনি বলেন, “যে যতই একে তাকে ধরে কাগুজে নেতা সাজার চেষ্টা করুক, আগামী দিনে ভাঙড়ে আরাবুল ও অহিদুল শেষ কথা বলবে। আমরা দুজন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাব। অন্যদের কেউ নেতা বলে মানবে না। দলের কর্মী হয়ে বামফ্রন্টের জমানা থেকে লড়াই করে আসছি। আগামীদিনেও দলের হয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাব।”

আর আরাবুল ইসলাম এবং ওহিদুল ইসলাম এইভাবে পরোক্ষে রেজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় এখন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই দুই তৃণমূল নেতা এতটা সাহস পেলেন জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর কারণেই। কারণ জেলা সভাপতি যেভাবে রেজ্জাক মোল্লার ঘোষণা করা ব্লক সভাপতিকে খারিজ করে দিয়ে ওহিদুল ইসলামকে ব্লক সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করলেন, তাতে এখানে বিধায়ক বনাম জেলা সভাপতির দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!