এবার কি দলে ব্রাত্য, নাকি টিকিট না পাওয়ায় অভিমান, তৃণমূলের প্রচারে নেই বিদায়ী সংসদ, জল্পনা তুঙ্গে পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য April 7, 2019 জঙ্গলমহলকে ঘিরে সরগরম লোকসভা ভোট। কেননা এবারে পঞ্চায়েত ভোটেই দেখা গেছে তৃণমূল এখানে শক্তি হারিয়েছে অনেকখানি। আর সেই জায়গায় নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই নিয়েই জোর জল্পনা যে এবারের লোকসভা ভোটে কে জিতছে। কিন্তু তার থেকেও এবার আর এক প্রশ্ন রীতিমতো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আর তা হলো ২২ দিন পেরিয়ে গেলেও ভোট প্রচারে দেখা গেল না ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ উমা সরেনকে। প্রসঙ্গত, একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি ঝাড়গ্রামে ২০১৪ সালে তৃণমূলের তরফ থেকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হয় উমা সোরেনকে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাম প্রার্থীকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ্য ভোট হারিয়ে জয়ী হন তিনি। এর পর কেটে গেছে ৫ বছর। গঙ্গা দিয়েও অনেক জল বয়ে গেছে। কিন্তু ঝাড়গ্রাম বাসীদের দাবি তাদের অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ঝাড়গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল যে তাদের সংসদ উমা সোরেন এলাকায় আসেন না এবং সংসদ তহবিলের টাকাও খরচ করা হয়নি। তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজকর্মও হয়নি। এই নিয়ে অনেকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি এই নিয়ে উমা সোরেনকে সতর্ক করেন। কিন্তু তাতেও তেমন কোনো কাজ না হওয়ায় এবার তৃণমূল নেত্রী ঝাড়গ্রামের প্রার্থী করেন বিরবাহা সোরেনকে। আর উমা সোরেনকে পশে বসিয়ে ঘোষণা করেন যে তাঁকে দলের কাজে লাগানো হবে। কিন্তু২২ দিন পেরিয়ে গেলেও ভোট প্রচারে দেখা গেল না ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ উমা সরেনকে। গত ১৪ মার্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল জামবনির টুলিবড়ের নির্বাচনী মঞ্চে। তারপর আর দেখা মেলেনি ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ উমা সরেনকে। গোপীবল্লভপুরের সভাতেও দেখা মিললো না উমা সরেনের। আর এই নিয়েই রাজনৈতিকমহল থেকে ঝাড়গ্রামবাসীর মনে এই প্রশ্ন যে দলে ব্রাত্য হয়ে গেলেন তিনি ?আর তাই তাঁকে দলের কোনো কাজে ডাকা হচ্ছে না আর তাই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না প্রচারে। নাকি এবারেও টিকিট পাবার আশা করেছিলেন উমা সোরেন আর তা পুরন না হওয়ায় দলের প্রতি ক্ষোভ বা অভিমান হওয়ায় তিনি নিজেকে দলের কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। আর এই নিয়েই এখন সরগরম ঝাড়গ্রামের রাজনীতি। যদিও এই নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি কোনো পক্ষই। আপনার মতামত জানান -