এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের সভায় অনুপস্থিত তৃণমূল সাংসদ! বিদ্রোহের ইঙ্গিতে বাড়ছে দলবদলের জল্পনা!

অভিষেকের সভায় অনুপস্থিত তৃণমূল সাংসদ! বিদ্রোহের ইঙ্গিতে বাড়ছে দলবদলের জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সমস্যা কমা তো দূর অস্ত, উল্টে যত দিন যাচ্ছে, ততই তৃণমূলের বিদ্রোহের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক এমনকি সাংসদরাও এখন প্রকাশ্যে মন্তব্য করে দলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর একের পর এক জনপ্রতিনিধিরা দলের বিড়ম্বনায় বাড়িয়ে দিচ্ছেন যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই, তা রীতিমত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার তৃণমূলের সমস‌্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সূত্রের খবর, রবিবার দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মন্ডল। আর তার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার কুলতলিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সভা হয়। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিষেকবাবু।

আর সেই সভাতে জেলার সমস্ত স্তরের নেতৃত্বরা উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে দেখা যায়নি জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মন্ডলকে। স্বাভাবিক ভাবেই দলবদলের প্রক্রিয়া যখন চলছে, তখন এই তৃণমূল সাংসদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত শীর্ষস্তরের নেতার সভাতে অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। কেন তিনি অনুপস্থিত থাকলেন? জানা গেছে, ইতিমধ্যেই প্রতিমাদেবী তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, এই সভার উদ্যোক্তারা তাকে আমন্ত্রণ জানাননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি 2016 সালে শওকত মোল্লা তাকে একবার আমন্ত্রণ করার পর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তিনি আর কখনও কোনো আমন্ত্রণ পাননি বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই তার মূল অভিযোগ যে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরুদ্ধে, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল। প্রতিমা মন্ডলের অভিযোগ, গত 22 জানুয়ারি একটি চিঠি তার বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীকে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে কোন নাম ছিল না।

আর এখানেই প্রশ্ন, কেন তৃণমূল সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হল না? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় কেন তিনি অনুপস্থিত থাকলেন? তাহলে কি উদ্যোক্তারা ঠিকমত আমন্ত্রণ জানাননি এই তৃণমূল সাংসদকে? কিন্তু দল যখন ভাঙনের আশঙ্কা করতে শুরু করেছে, তখন কেন সকলকে নিয়ে চলতে পারছে না শাসক দলের একাংশ? তবে প্রতিমা মন্ডল এই অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি শওকত মোল্লা।

তিনি বলেন, “প্রতিমা মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে কুলতলির সভায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি আসেননি।” অর্থাৎ পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে দক্ষিণ 24 পরগনায়, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার। একাংশ বলছেন, হাওড়া থেকে শুরু করে হুগলি, বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধিরা এখন বিস্ফোরক হতে শুরু করেছেন।

আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পর আমন্ত্রণ না পাওয়ার যে অভিযোগ করলেন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ, তাতে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে ঘনিষ্ঠমহলে এই অভিযোগ করার পরে নীরবতা পালন করেন প্রতিমা মন্ডল, নাকি প্রকাশ্যে এবার অন্যান্যদের মত দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!