এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মহামারীতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদকে গ্রেপ্তারের দাবি তৃণমূল সাংসদের

মহামারীতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে বিজেপি সাংসদকে গ্রেপ্তারের দাবি তৃণমূল সাংসদের

সকলেই বলছেন, এখন একযোগে দেশকে বাঁচানো উচিত। রাজনীতি করার অনেক সময় পাওয়া যাবে। যদি দেশকে বাঁচানো যায়, দেশের মানুষকে বাঁচানো যায়। এমনকি রাজনীতিবিদদের মধ্যেও এই কথা বারবার শোনা যাচ্ছে। তবে মুখে তারা এই কথা বললেও, কাজে যে তারা একদম ভিন্ন আচরণ করে চলেছেন, তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, এদিন চুঁচুড়ায় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের উদ্যোগে সাধারণ মানুষকে মহামারীর সময় খাদ্য বিতরণ করতে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিকে দু’বছরের জন্য জেলে পোড়ার কথা বলেন তিনি।

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন কথা বললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়? জানা গেছে, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য তুলে ধরে কল্যানবাবু বলেন, “গুজব ছড়ানোর জন্য লকেটকে সবার আগে জেলে ঢোকানো উচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ নিজেই বলেছেন, করোনা নিয়ে কোনো প্রকারের গুজব ছড়ালে দু বছর জেল হওয়া উচিত। সবার আগে তাই লকেট চ্যাটার্জিকেই দু বছরের জন্য জেলে পুরে রাখা উচিত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু লকেট চ্যাটার্জিকে আক্রমণ করাই নয়, এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মোমবাতি জ্বালানো নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যখন ফেব্রুয়ারি মাসে এই করোনার সংক্রমণ ছড়ানো হয়, তখন তার বিরুদ্ধে উনি কোনো পদক্ষেপ নিলেন না। উল্টে সারা ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল করে দিলেন। আজকে মোমবাতি জালাও, লাইট‌ নেভাও এসব বলতে হত না, যদি আরও আগে আন্তর্জাতিক ও আন্তর্দেশীয় উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হত।”

আর কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমানে এই সংকটের মুহূর্তে এই সমস্ত কথা নিয়ে এখন নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, কল্যানবাবুর দল তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী আসনে রয়েছে। তাহলে সেদিক থেকে এখন কল্যানবাবু এই সমস্ত সাজেশন সরকারকে দিলেও, কেন অতীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে শুধুমাত্র বিরোধিতা করতেই তারা ব্যস্ত ছিলেন?

কেন তখন ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তারা সরকারকে কোনোরূপ পরামর্শ দেননি! তাহলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তবে সকলেই চাইছেন, এই সময় অন্তত এই রাজনৈতিক কথাবার্তাগুলো বন্ধ হোক। ভারতবর্ষে যে সংকটজনক মুহূর্তে চলছে, তা থেকে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করতে হাতে হাত দিয়ে কাজ করুক শাসক-বিরোধী সকলেই। কিন্ত এই আশার বাণী বারবার লঙ্ঘিত হওয়ায় রীতিমতো হতাশ জনতা জনার্দন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!