এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কংগ্রেসের স্বাধীনতা কি মমতার দলে নেই? হেভিওয়েট তৃণমূল সংসদের অডিও টেপ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে!

কংগ্রেসের স্বাধীনতা কি মমতার দলে নেই? হেভিওয়েট তৃণমূল সংসদের অডিও টেপ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে!

করোনা ভাইরাসের সময় সব থেকে বেশি বিপদে পড়েছেন বাইরের রাজ্যে কাটানো পরিযায়ী শ্রমিকরা। নিজের বাড়িতে ফিরতে না পেরে তারা যেমন পরিবার-পরিজন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন, ঠিক তেমনই বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সেখানেও অর্থ না পাওয়ায় নানা সমস্যায় জর্জরিত শ্রমিকরা। তবে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত পাঠানো নিয়ে বর্তমানে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ লক্ষ্য করা গেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অনুযোগ করে বলেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ করছে না। তবে প্রথম থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরত পাঠানো নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যেখানে রাজ্যের শাসক দলকেও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।

কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আর অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মত বিরোধী দলের নেতা যখন এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করছেন, ঠিক তখনই তাকে সমর্থন করে বসলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। যা নিয়ে এখন চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন এই তৃণমূল সাংসদ। বিভিন্ন বাংলা ওয়েব পোর্টালের খবর অনুযায়ী, একটি অডিও ক্লিপে (যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় নি প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে) শোনা যাচ্ছে শতাব্দী রায়ের গলায় অধীর চৌধুরীর প্রশংসা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে তিনি বলেন, “আমার তরফ থেকে এসপি, ডিম আমাদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি। তবে ভালো বুদ্ধি দিয়ে অধীর চৌধুরী কেন এটা পারছেন, তা ভেবে দেখতে হবে। অধীর চৌধুরী রেল প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু আমি তো ছিলাম না। অধীর চৌধুরী লোকসভার বিরোধী দলনেতা। অধীর চৌধুরী যা বলেন, সোনিয়া গান্ধী তাই শোনেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলে আমি সেই জায়গায় নেই। সুতরাং অধীর যেটা পারবেন, আমি সেটা পারব না।”

কিন্তু তার এই বক্তব্য নিয়ে এখন রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কেন হঠাৎ শতাব্দী রায় বললেন অধীর চৌধুরি ভালো বুদ্ধি রাখেন? কেন হঠাৎ তিনি একথা বলতে গেলে অধীর চৌধুরী করেছে যে জায়গায় রয়েছেন, তিনি তৃণমূলের সেই জায়গায় নেই! তাই তিনি ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না! তাহলে কি দলের প্রতি ক্রমশ বিরাগভাজন হচ্ছেন বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ? নাকি তৃণমূলে ব্যাক্তি স্বাধীনতা নেই? নেত্রী কারুর কথা শোনেন না ? এমন অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

এখন এই সমস্ত প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে তারই অডিও ক্লিপকে কেন্দ্র করে। বিশেষ করে সকলেই যেখানে জানেন অধীর চৌধুরী ঘোষিতভাবে মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী। আর তৃণমূল কংগ্রেস মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূলে থেকে তৃণমূলেরই অন্যতম বিরোধীকে এইভাবে প্রশংসায় ভরিয়ে দেওয়া অনেক জল্পনারই জন্ম দিচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শেষ পর্যন্ত শতাব্দী রায়ের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

যদিও ভাইরাল হওয়া সেই অডিও টেপ নিয়ে এখনো পর্যন্ত শতাব্দী রায় মুখ খোলেননি, বা দাবি করেননি যে অডিও টেপটি ভুয়ো। প্রসঙ্গত,এই প্রতিবেদন সম্পূর্ণরূপে বিভিন্ন বাংলা ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে করা হয়েছে, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফে এই খবরের বা অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!