এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কর্মীসভায় মহিলা কাউন্সিলরের প্রশ্নবাণে টালমাটাল হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ, মাইক কেড়েও আটকানো গেল না ক্ষোভ!

কর্মীসভায় মহিলা কাউন্সিলরের প্রশ্নবাণে টালমাটাল হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ, মাইক কেড়েও আটকানো গেল না ক্ষোভ!

এবার প্রচার করতে এসে দলীয় কাউন্সিলারেরই প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেল উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃনমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে দেশবন্ধু পার্কের এক সভায় উপস্থিত হন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডে সহ তৃণমূলের কাউন্সিলররা।

এদিন প্রথমেই বক্তব্য রাখতে উঠে দেরি করে তাদের কাছে খবর পৌঁছনোয় এবং এই সভায় যারা দলের মূল কাজ করেন সেই বুথকর্মীরা না থাকায় প্রশ্ন তুলে দেন 32 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুন্ডু। একই কথা বলে বুথ কর্মীদের যথেষ্ট সম্মান দেওয়ার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন 11 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অতীন ঘোষ। তবে আশ্চর্যজনকভাবে শান্তিরঞ্জনবাবু বা অতীনবাবুর বক্তব্যকে থেকেও বক্তব্য রাখতে উঠে বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন 12 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রণতিদেবী।

এদিন তিনি বলেন, “সাংসদ আমাদের এলাকায় আসেন না। হয়তো তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু আমি শুধু একটাই কথা বলতে চাই, আমরা নিচতলায় কাজ করি। তাই যখনই কাজের জন্য সাংসদের কাছে পাঠানো হয়, তখনই বলা হয় মন্ত্রী বা বিধায়কের সুপারিশ লাগবে। তাহলে আমাদের মত কাউন্সিলররা কাউকে সুপারিশ করে পাঠালে তারা কি কাজ পাবেন না! কেন আমাদের কথা শোনা হয় না!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর প্রণতিদেবীর এহেন বক্তব্যেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে। পরবর্তীতে কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” প্রনতিদেবী জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি তো এটা বললেন না যে, যখন তার এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন, তখন আমি তা করে দিয়েছিলাম!”

অন্যদিকে কোনো ক্ষোভ থাকলে তা প্রকাশ্যে এই ভাবে না বলে আলাদা ভাবে সাংসদকে বলতে হত বলে জানান স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পান্ডে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি এইভাবে সাংসদ এবং মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরায় প্রণতিদেবীর বক্তব্যে অত্যন্ত খুশি উপস্থিত তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

অনেকে বলছেন, এই বাস্তব পরিস্থিতি যদি প্রণতি দেবী তুলে না ধরতেন তাহলে পরে যদি এলাকায় লিড না দেওয়া যেত, তাহলে কোপ পড়ত সেই দলের পদাধিকারীদের ওপরই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশ্যে দলীয় সভায় এই কথা বলে আদতে দল যাতে পরে এই ব্যাপারটিকে মেরামতি করতে পারে তার জন্যই প্রণতি দেবী এহেন কথা বলেছেন বলে মত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের।

তবে দলকে ভালোবেসে প্রনতীদেবী এহেন কথা বললেও এতে যে অনেকটাই প্রেস্টিজ গিয়েছে এখানকার বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক সাধন পান্ডের, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!