তৃণমূলের সংহতি মঞ্চে উঠলো না মুকুল কিংবা বিশ্ব বাংলা প্রসঙ্গ হতাশ কি কর্মী সমর্থক? রাজ্য December 7, 2017 বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই বিশ্ববাংলা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন । জবাব ,পাল্টা জবাব ,মামলা,পাল্টা মামলা এসবের পর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কেউ কেউ এই নিয়ে কুত্সা রটাচ্ছে। কিন্তু, বিশ্ব বাংলা লোগো, নাম আমার তৈরি। ২০১৩ সালে এই লোগো তৈরি করি। রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার যতদিন ইচ্ছা তা ব্যবহার করবে। রাজ্য সরকার কোনওদিন ছেড়ে দিলে, তা আমার কাছে ফিরে আসবে।” আর তার পরেই তিনটি প্রশ্ন করেন মুকুল রায় ১. মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন “লোগো” ব্যবহার করতে দিয়েছেন তবে মালিকানা দেননি ,দিয়েছেন কি ? ২.যদি মুখ্যমন্ত্রী সত্যি বলেন তবে তাঁর দুই আমলা মিথ্যা বলছেন। কারণ তারা বলেছিলেন যে লোগোর মালিকানা রাজ্যসরকারের। তবে কে সত্যি বলছেন? ৩.মুখ্যমন্ত্রী যদি লোগো রাজ্যকে দিয়েছেন তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে ট্রেড মার্কের আবেদন করতে পারেন তাও আবার তাঁরই অনুমতি নিয়ে? মুকুল রায়ের এই অভিযোগের পর তৃণমূলের বড় থেকে ছোট সব নেতা থেকে শুরু করে দলীয় কর্মী সমর্থকরা তাকিয়ে ছিলেন সংহতি সভার দিকে। কারণ সেদিন উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভবিষ্যতের কান্ডারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাছাড়া অভিষেক বান্ধোপাধ্যায়ের নামে অভিযোগ করেছিলেন মুকুল রায় তাই তিনি মু-তোর জবাব দেবেন। সেখানে বিশ্ব বাংলা প্রসঙ্গই তুললেন না। যেখানে দলে নেত্রীই একমাত্র শেষ কথা সেখানে তিনি ও দলের ২ নম্বর অভিষেকবাবু চুপ থাকায় দলের মধ্যে নতুন প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্নগুলি হলো – ১.কেন মুকুলের তোলা ‘বিশ্ববাংলা’ অভিযোগকে খণ্ডালেন না। ২.’বিশ্ববাংলা’ নিয়ে কেন মুখ খুললেন না। ৩.মুকুলের তোলা প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন গেলেন কেন ? ৪. বিজেপিকে আক্রমণ করলেও নেত্রী কেন একবারের জন্যও মুকুল রায়ের নাম নিলেন না। হোক না সে আক্রমণ। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর এই নির্বাচনের আগে কর্মী সমাথকদের হতাশা ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। অবশ্য কিছু কিছু কর্মী সমর্থকদের মতে মুকুল রায় তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এইসব করছে।আর তাই মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে কোনো কথা বলেননি। আপনার মতামত জানান -