এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃনমূলের সুরেই সুর মেলালেন মুকুল! ভিন্ন মত দিলীপের, অস্বস্তি তুঙ্গে!

তৃনমূলের সুরেই সুর মেলালেন মুকুল! ভিন্ন মত দিলীপের, অস্বস্তি তুঙ্গে!

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রথম থেকেই তৃণমূল তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে এসেছে। কোনোমতেই বাংলায় যে তারা এই আইন করতে দেবে না, তা পদযাত্রা, প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি নেতারা অবশ্য প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে অন্য কথা বলেছেন। তাদের দাবি ছিল, সারা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও এনআরসি হবে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার এনআরসি নিয়ে বিজেপির অন্দরে দুই হেভিওয়েট নেতার মুখে দুই রকম কথা শুনতে পাওয়ায় তীব্র জল্পনা শুরু হল।

সূত্রের খবর, এবারে এনআরসি ইস্যুতে ভিন্ন কথা শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গলায়। বস্তুত, সম্প্রতি এনআরসির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। যেখানে তিনি বলেন, “আমি চাই বাংলায় এনআরসি হোক। অসমে যদি হয়, তাহলে বাংলাতেও কেন হবে না! এখানে সব থেকে বেশি অনুপ্রবেশ হয়েছে। যদি 370 হতে পারে, তাহলে এনআরসিও হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি যখন এহেন কথা বলছেন, ঠিক তখনই উল্টো সুর শোনা গেল বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়ের গলায়। এদিন তিনি বলেন, “যারা অপপ্রচার করছেন, তারা ভুল করছেন। স্বাভাবিকভাবেই এটা বলার কোনো প্রশ্ন নেই। এটা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ে মান্যতা দিয়েছে। এনআরসি হবে, এমন কথা অমিত শাহ কোথাও বলছেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। যা হয়েছে, তা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে। তাতে একজন ভারতবাসীরও নাগরিকত্ব যাবে না। বরঞ্চ কিছু মানুষ, যারা অন্য দেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে এদেশে আসবেন, তাদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।”

আর দিলীপ ঘোষের মুখে এনআরসি সম্পর্কে এক কথা এবং মুকুল রায়ের মুখে এনআরসি সম্পর্কে আরেক কথা শুনতে পাওয়ায় এখন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিপক্ষে যখন বিরোধীরা সুর চড়িয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য ভিন্ন ছিল। যেখানে অমিত শাহ এনআরসি করার কথা বললেও, প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

আর এবার বাংলাতেও দুই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা একজন এনআরসির পক্ষে মন্তব্য করলেও, আর একজন এনআরসি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায়, বিজেপির এনআরসি নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি কি! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, আসলে বিজেপি নিজেরাই বুঝতে পারছে না, এনআরসি নিয়ে তাদের অবস্থান কি! আর তাইতো এক এক নেতার মুখে এক এক কথা শোনা যাচ্ছে। যা তাদের দলের ভেতরের অনৈক্যকেই ক্রমশ প্রকাশ্যে আনছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!