এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কে কে যোগাযোগ রাখছেন মুকুলের সাথে, তৃণমূলের অন্দরে চলছে সন্ধান

কে কে যোগাযোগ রাখছেন মুকুলের সাথে, তৃণমূলের অন্দরে চলছে সন্ধান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টবর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের প্রভাব তৃণমূল কংগ্রেসে একসময় এতটাই বেশি ছিল যে, অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে “তৃণমূল” বলা অপেক্ষা “তৃণমুকুল কংগ্রেস” বলে অভিহিত করত। কোনো জেলার সমস্যা হোক বা ব্লকের সমস্যা, সব ব্যাপারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিতেন মুকুল রায়কে।

দলের কোনো নেতা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কোনো অভিযোগ করতে গেলেই বলে দেওয়া হত, “মুকুলের সাথে গিয়ে দেখা করো, সে সব বলে দেবে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম আস্থাভাজন ছিলেন এই মুকুল রায়। কিন্তু এখানে মুকুল রায়ের গুরুত্ব তৃণমূলে কমতে শুরু করে 2014 সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্থান ঘটানোর পর এই দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরুত্ব বাড়তে শুরু করে মুকুল রায়ের। আর এরপরই যে ঘটনা বঙ্গ রাজনীতিতে কোনোদিন ঘটতে পারে না বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল, সেই ঘটনাই ঘটে যায়।

কার্যত সকলকে চমকে দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর পরের ইতিহাসটা সকলেরই জানা। মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি, সাংসদ একের পর এক যোগ দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। সাম্প্রতিককালে অবশ্য দল ভাঙ্গানোর খেলা কিছুটা হলেও বন্ধ করে রেখেছেন মুকুলবাবু। সা

মনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তিনি যদি আবার চেষ্টা করেন, তাহলে তিনি গোটা তৃণমূলকেই ভেঙে দেবেন বলে মনে করছে অনেকে। এমনকি তলায় তলায় মুকুলবাবুও এই ব্যাপারে গুটি সাজাচ্ছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের মত চাণক্য যদি তৃণমূলকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভেঙে দেন, তাহলে ক্ষমতায় ফেরা কার্যত দুঃসাধ্য হবে শাসক দলের পক্ষে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের এখনও যারা মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ রয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিল তৃণমূলের রাজনৈতিক অধিকার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। কেননা বিভিন্ন সময় মুকুল রায় দাবি করেছেন যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেও, তার সাথে তৃণমূলের অনেক শীর্ষস্থানের নেতা-নেত্রী যোগাযোগ রাখছেন।

এমনকি বাস্তবে এর অনেক প্রমানও দেখা গেছে। আর তার ফলেই লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে অনেক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তার হাত ধরে যোগদান করেছে গেরুয়া শিবিরে। আর বিধানসভা নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে, তখন মুকুল রায় বিজেপিতে গুরুত্ব পেতে তার দল ভাঙানোর খেলা আবার শুরু করবেন, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের এখনও যারা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা।

অর্থাৎ নির্বাচনের মুখে যদি তৃণমূল ভাঙতে শুরু করে, তাহলে ব্যাপক সমস্যা হবে। তাই এখন থেকেই মুকুল রায়ের যারা ঘনিষ্ঠ তৃণমূলে রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করে ডানা ছেঁটে দিতে পারে ঘাসফুল শিবির। আর তাই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু মুকুল রায় যে ধরনের রাজনীতিবিদ, তাতে চেষ্টা করলেও মুকুলবাবুর গ্রাস থেকে তৃণমূলের নেতাদের চিহ্নিত করে আদৌ রক্ষা করতে পারবেন কিনা প্রশান্ত কিশোর, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। সবমিলিয়ে তৃণমূলকে বাঁচাতে এবং মুকুল রায়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশান্ত কিশোরের এই ফর্মুলা কতটা কাজে দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!