এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালকে কি এবার সামাজিকভাবে বয়কটের পথে হাঁটছে তৃণমূল? পুরপ্রধানের পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা

রাজ্যপালকে কি এবার সামাজিকভাবে বয়কটের পথে হাঁটছে তৃণমূল? পুরপ্রধানের পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা

এতদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মন্তব্য করে সোরগোল ফেলতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। আর দলের একদম শীর্ষস্তরের নেতাদের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে একের পর এক বেলাগাম মন্তব্য যে নিচুস্তরের নেতাদের মধ্যেও চলে এসেছে, তা এবার আঁচ করা গেল।

বস্তুত, কিছুদিন আগেই রাজ্যপাল একটি জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দিলেও সেখানে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিত হওয়া তো দূর অস্ত, কোন প্রশাসনিক ব্যক্তিকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। যা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের কাছে অত্যন্ত অপমানজনক বলেই দাবি করেছিল রাজনৈতিক মহল।

আর এবার রাজ্যপাল কালীপুজোর উদ্বোধন করছেন জেনে সেই পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন বারাসাত পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়। জানা যায়, এবার বারাসাতের তরুচ্ছায়া ক্লাব পরিচালিত কালীপুজো 50 বছরে পা দিয়েছে।

এতদিন এই ক্লাবের মুখ্য পৃষ্ঠপোষকের দায়িত্বে ছিলেন বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুনীল মুখোপাধ্যায়। এবারও কালীপুজোয় মুখ্য অতিথি হিসেবে তার নাম আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে।কিন্তু এই ক্লাবের পূজো উদ্বোধনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের আসার ব্যাপারটি পাকা হয়ে যাওয়ার পরেই এবার সেই পুজো কমিটির পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে সেই সুনীলবাবু ইস্তফা দেওয়ায় প্রবল জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। তাহলে কি তৃণমূলের তরফে একদম নীচু তলাতেও রাজ্যপালের সঙ্গে যাতে কেউ বিন্দুমাত্র সম্পর্ক না রাখেন, তার ব্যাপারে ফরমান জারি করা হয়েছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এবার রাজ্যপাল ঐতিহ্যমন্ডিত কালী পুজোর উদ্বোধন করতে আসছেন, সেই কথা জেনে সেখান থেকে আগেই রনেভঙ্গ দিয়ে সেই ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখতে চাইলেন বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সুনীল মুখোপাধ্যায়?

এদিন এই প্রসঙ্গে সুনীলবাবু বলেন, “রাজ্যপাল রাজ্যপালের মতো আচরণ ও কাজ করছেন না। সেই কারণে ওনার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধার জায়গা নেই। যেহেতু ওই ক্লাবের পূজো উদ্বোধনে রাজ্যপাল আসছেন, তাই আমি প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এছাড়া ওই ক্লাবে আমাকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হলেও আমি কোনো মিটিংয়ে থাকি না। রাজ্যপালকে উদ্বোধনে ডাকা হয়েছে, তা জানতাম না।”

আর একটি পৌরসভার চেয়ারম্যানের রাজ্যপালের সঙ্গে এত দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে এবার রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যখন রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা ঘোচাতে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নিজের বাড়ির কালীপুজো এবং ভাইফোঁটায় রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, তখন তৃণমূলের এক পৌরসভার চেয়ারম্যান একটি ক্লাবের পূজোয় রাজ্যপাল উদ্বোধনে যাওয়ায় কেন সেই ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন!

তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নিতে চাইলেও তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বরা সেই রাজ্যপালের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন! কিন্তু একজন সাংবিধানিক প্রধানকে এইভাবে যদি তৃণমূল নেতারা বয়কট করতে থাকেন, তাহলে তাতে যে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এতদিন বঙ্গ রাজনীতিতে যে সৌজন্যতা ছিল, সেই সৌজন্যতা যে দিনকে দিন মিলিয়ে যেতে শুরু করবে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সব মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!