এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও প্রার্থী নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে, গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরমহলে!

দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও প্রার্থী নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে, গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরমহলে!

 

চলতি বছরেই যে পৌরসভা নির্বাচন হবে, তা কায়মনোবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রত্যেকেই। তবে এই পৌরসভা নির্বাচনে ভালো এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের প্রার্থী করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরের ওপর। তবে কে প্রার্থী হবেন, সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে এখন থেকেই দেওয়াল দখলের কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

শুধু তাই নয়, অনেকে আবার প্রার্থী হওয়ার আকাঙ্খায় নানা মহলে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, আজ সংরক্ষণ তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেলডাঙা পৌরসভার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে চারজনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, 1,4,5,7,9,11,12 এবং 14 নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ, 2,3,6 10,13 মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এবং 8 নম্বর ওয়ার্ডটি তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।

আর এই সমস্ত ওয়ার্ডগুলির মধ্যে অনেক ওয়ার্ডেই প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বাসনা তৈরি হয়েছে। বস্তুত, কিছুদিন আগেই এই পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রয়াত হয়েছেন। পরবর্তীতে এখানকার এক বাম নেতা তৃনমূলে যোগ দেওয়াতে তিনি তৃনমূলের প্রার্থী হওয়ার আশায় রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “প্রার্থী হওয়ার বাসনায় এখনই প্রচার করে শুরু করে দিয়েছেন তিনি।” অন্যদিকে যে বামনেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন বেড়েছে। তাই আমার এই ওয়ার্ডে টিকিট পাওয়া উচিত। তাই ভোটে লড়ার কাজ এগিয়ে রাখছি।” একইভাবে 10 নম্বর ওয়ার্ডের এক মহিলা নিজেকে তৃণমূলের প্রার্থী ধরে নিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছেন। একধাপ এগিয়ে নিয়ে এলাকায় প্রতিবেশীকে প্রশ্ন করছেন, দিদি আমি ভোটে দাঁড়ালে আমাকে জেতাবেন তো!

অন্যদিকে 12 নম্বর ওয়ার্ডে তুহিনারা বেগম বলেন, “আমি ওয়ার্ডে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করছি। আশা করি, দল আমার কথাই ভাববে।” আর এখনও পর্যন্ত ভোটের দিন ঠিকঠাক না ঘোষণা হওয়ার আগেই, যেভাবে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রার্থী হিসেবে দাবি করতে শুরু করেছেন, তাতে নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। যদি তারা প্রার্থী না হন, তাহলে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল তৈরি হতে পারে বলেও মনে করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে বেলডাঙা শহর তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” দল যা ঠিক করবে, তাই চূড়ান্ত। নিজেকে প্রার্থী ভেবে কেউ প্রচার করলে, সেটা তার দায়। দলে এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।” তবে সুভাষবাবু যে কথাই বলুন না কেন, এতে করে যে তৃণমূলের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!