এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুর-নির্বাচনে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে নয়া ভাবনায় গেরুয়া শিবির

পুর-নির্বাচনে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে নয়া ভাবনায় গেরুয়া শিবির

 

লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি ব্যাপক ভোটে লিড পেয়ে জয়লাভ করেছে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি লোকসভায় সাফল্য পেলেও, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে। যা নিঃসন্দেহে ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।

একদিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আর অন্যদিকে লোকসভায় সাফল্য পাওয়ার পর আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব। যা সংগঠন তৈরির কাজকে ঢিলেমির পর্যায়ে পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিল। আর এর ফলেই যতদিন গিয়েছে, ততই উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপির সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে। তবে আসন্ন এই জেলার পৌরসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে এখন থেকেই স্বচ্ছ মুখ খুজতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, নতুন বছর পরার পরই ইসলামপুর ও ডালখোলা পৌরসভা নির্বাচনের ঘোষণা হতে পারে। ফলে আর দেরি না করে এখন থেকেই প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ খুঁজতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রসঙ্গত, পৌরসভা এলাকাগুলিতে বিজেপির সংগঠন ঠিকমত না গড়ে ওঠায়, সেখানে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের প্রার্থী করতে চাইছে তারা।

ফলে স্থানীয় নেতার অভাব দেখে সাংগঠনিক অপেক্ষা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের প্রার্থী করে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। কিন্তু সংগঠন না থাকলে যে জেতা যায় না, তা তো ভালোই জানে গেরুয়া শিবির। ফলে কেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হওয়া এই পৌরসভার নির্বাচনে তারা শুধুমাত্র ভালো ব্যক্তিদের প্রার্থী করেই দায় সারতে চাইছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি নির্মল দাম বলেন, “ইসলামপুর, ডালখোলা ও কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনেক কর্মসূচি আছে। কোথাও ঘাটতি থাকলে দেখে নেব। জানুয়ারি থেকেই প্রার্থী নির্বাচন শুরু হবে। প্রার্থী করার ক্ষেত্রে আমরা একটি গাইডলাইন নিয়ে নিয়েছি। প্রার্থীর ক্ষেত্রে সামাজিক প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং গ্রহণযোগ্যতা থাকা চাই। দলের সদস্য নাও হতে পারে। আবার এমনও হতে পারে, যাকে প্রার্থী করা হবে, তিনি আমাদের দলের ঝান্ডা ধরেননি। প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা প্রার্থী দেব।”

এদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, “গত পৌরসভা নির্বাচনে আমাদের দলের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো ছিল না। তার পরেও ইসলামপুর পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে দলের সক্রিয় সদস্য নয়, এমন ব্যক্তিকেও প্রার্থী করা হয়েছে। এখন দলের সংগঠন চাঙ্গা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের সক্রিয় সদস্য আছে। প্রার্থী করার সময় উপযোগী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখে বিজেপি নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন, এর আগে মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়েও উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। ফলে সেদিক থেকে রাজনৈতিক লোক অপেক্ষা যদি অরাজনৈতিক লোক পৌর নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়, তাহলে বিজেপির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব তীব্র হতে পারে। যা নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলবে। তবে গোটা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, প্রার্থী তালিকায় রাজনৈতিক নাকি অরাজনৈতিক মুখ বেশি রাখে ভারতীয় জনতা পার্টি! সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!