এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা বড় “ফ্যাক্টর” হতে চলেছেন? পুরভোটের আগেই কি বদলে পুরো রাজনৈতিক সমীকরণ?

তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা বড় “ফ্যাক্টর” হতে চলেছেন? পুরভোটের আগেই কি বদলে পুরো রাজনৈতিক সমীকরণ?

 

সমস্যা যেন কিছুতেই মিটছে না মালদহের ইংলিশবাজার পৌরসভায়। বেশ কিছুদিন আগেই তৃণমূল কাউন্সিলররা এই তৃণমূল পরিচালিত ইংলিশবাজার পৌরসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে উদ্যোগী হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রবল চাপে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ইংলিশবাজার পৌরসভায় যে সমস্ত বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা রয়েছেন, তারা ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ছক কষতে শুরু করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে ভবিষ্যতে তারা ঠিক কোন পথে যাবেন, সেই ব্যাপারে নজড় রাখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত একমাস আগে ইংলিশ বাজার পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একটা অংশ অনাস্থা নিয়ে আসায় মালদহ জেলা রাজনীতিতে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে কিছুদিন পৌরসভা নির্বাচনের বাকি থাকায় তার আগেই তৃণমূলের ভোট ভেঙে যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

তবে মালদহ পৌরসভায় এই অনাস্থা আনার সাথে সাথেই রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যা মিটতে শুরু করে। বর্তমানে ইংলিশবাজার পৌরসভায় বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের তরফে আর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না। আর যারা যত বেশি নীরব, তাদের অবস্থান নিয়ে তত জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ইংলিশবাজার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, “মানুষের উন্নয়ন করার জন্য আমি অন্য দল থেকে তৃণমূলের এসেছি। কিন্তু শহরবাসী তথা নিজের ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের জন্যই কাজ করতে পারছি না। আমি ছেড়ে কথা বলার লোক নই। এই ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করছি। সময় হলেই তা সকলে জানতে পারবেন।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, “পুরো পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিষয়টি দ্রুত চেয়ারম্যানকে জানাব।” তবে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে ইতিমধ্যেই দাবি করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপি সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল এমনিতেই বাড়ছে। তবে তৃণমূল ছেড়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কোনো কাউন্সিলার আমাদের দলে আসতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে ইংলিশবাজার পৌরসভায় তৃণমূল ফাটল ধরেছে এবং কাউন্সিলাররাই বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন, তাতে পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ক্ষেত্রে অশনিসংকেত দেখা দিতে পারে। আর কথা বলা ব্যক্তির থেকে নীরব ব্যক্তির ভাবমূর্তি বোঝা বড় ভয়ংকর। তাই তো নীরবে থাকা বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা এখন কোন পথে যান, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!