এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বেআইনি কর্মী নিয়োগ, কাজ হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন কর্মীরা

তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বেআইনি কর্মী নিয়োগ, কাজ হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন কর্মীরা

তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরোসভার বোর্ড শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের খতিয়ে দেখার জন্য মাস ছয়েক আগে পৌর এলাকায় ৫০ জন সুপার নিয়োগ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের অধীনে বালুরঘাট পুরসভা চলে যাওয়ায় প্রশাসনের দাবি ওই ৫০ জন সুপারভাইজারের পদে নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছিল।

কেননা তাদের বেতন দেওয়ার টাকার সূত্র পাচ্ছে না প্রশাসন। এতদিন পর্যন্ত মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকার সুদ থেকে তাদের বেতন দিত পুরসভা। কিন্তু প্রশাসনের মতে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা এভাবে খরচ করা যায় না। তাই তারা কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যার ফলে কাজ হারানোর খবরে চিন্তায় পড়েছেন ওই সুপারভাইজাররা।

কিছুদিন আগে,শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিল এর পুরোবোর্ডের কাছে সুপারভাইজার নিয়োগের প্রস্তাব আনেন। সেই সময় বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়।এবং ২৫ টি ওয়ার্ডের ১০৮ টি এসএসকে কেন্দ্রে মিড ডে মিলের কাজ খতিয়ে দেখার জন্য দু’জন করে ওই ৫০ জন সুপারভাইজারকে নিয়োগ করা হয়।

নবনিযুক্ত ওই সুপারভাইজারদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। কি করেছিল মিড ডে মিলের বদ টাকার সুদ থেকে তাদের বেতন দেওয়া হবে। এতদিন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল।কিন্তু বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে বর্তমানে প্রশাসক পুরসভার দায়িত্ব নেয়।

সেই সময় প্রশাসনের নজরে আসে পুরসভায় সুপারভাইজার বলে কোন পদ নেই যার ফলে কিভাবে সেই পদ তৈরি হলো এবং কি করে তাদের বেতন দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেখানে উঠে আসে, সরকারের বরাদ্দ টাকা ব্যাংকে রেখে যে সুদ মিলছিল তাই ওই খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বর্তমানে বালুরঘাট পুরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক সুব্রত মহন্ত বলেন, “মাস ছয়েক আগে পুরসভা নিয়ম না মেনে কিছু সুপারভাইজার নিয়োগ করেছিল। তাদের বেতন দেয়ার মত টাকা আমাদের হাতে নেই।এতদিন পর্যন্ত পুরসভা মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ গচ্ছিত টাকার সুদ থেকে এঁদেরদে বেতন দিতেন। কিন্তু সুদের টাকা এভাবে অন্য খাতে ব্যয় করা যায় না। সে কারণেই বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের ছাঁটাইয়ের বিষয়টি স্থির করা হয়েছে। মহকুমার শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায় বর্তমানে ছুটিতে আছেন। উনি কাজে যোগ দিলেই ওই সুপারভাইজারদের ছাঁটাই করা হবে।”

অন্যদিকে বালুরঘাট পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান রাজিন শীল বলেন, “এসএসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলার বোর্ড মিটিংয়ে সুপারভাইজার নিয়োগের প্রস্তাব এনেছিলেন। সেই প্রস্তাবে পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে সুপারভাইজার নিয়োগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন আমি পদে নেই তাই এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

অন্যদিকে বালুরঘাট পুরসভার বিদায় বোর্ডের বিরোধী দলনেত্রী আরএসপির সুচেতা বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা জানতাম একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে। কিন্তু কিভাবে দুজন করে নিয়োগ করা হয়েছিল তা জানি না। ভেতরের উৎস ঠিক না করেই পুরসভা এটা করেছিল।আসলেই বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৃণমূল ছিনিমিনি খেলছে।”

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই সুপারভাইজারদের নিয়োগ নিয়ে একদিকে যেমন জেলার রাজনীতিতে চাপানউতোর চলছে। অন্যদিকে ঠিক তেমনি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়েছেন এই সুপারভাইজাররা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!