এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতাদের CBI-এর হাত থেকে বাঁচাতে ধর্নায় খোদ মমতা! লকডাউন, কোভিড বিধি বিশ বাঁও জলে!

তৃণমূল নেতাদের CBI-এর হাত থেকে বাঁচাতে ধর্নায় খোদ মমতা! লকডাউন, কোভিড বিধি বিশ বাঁও জলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রবিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে লকডাউন, সেদিন মহানগরের নানা স্থানে পুলিশের সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। যে কারণে কোভিড বিধি মান্য করতে দেখা গিয়েছিল সকলকে। সেদিন সময়ের মধ্যে বাজার বন্ধ করে দেওয়া, রাস্তায় পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গতকাল সেই দৃশ্য দেখা গেল না। গতকাল একাধিক নেতা মন্ত্রীকে সিবিআইয়ের গ্রেফতার, নিজাম প্যালেসে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষভ, মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা চলে, তাই সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শহরের অধিকাংশ পুলিশ। আর বেশ কিছু পুলিশ রাজভবনের নিরাপত্তায় নিযুক্ত ছিলেন। এ কারণে রাস্তায় পুলিশের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তাই কোভিড বিধি অমান্য করেই অনেকেই ঘুরলেন রাস্তায়। যা দেখে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

গতকাল সকাল পর্যন্ত পুলিশের যথেষ্ট তৎপরতা চোখে পড়লেও, দিন এগোবার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পুলিশের সংখ্যা কমতে আরম্ভ করে। নিজাম প্যালেসে,রাজ ভবন চত্বরে উপস্থিত হন অধিকাংশ পুলিশ। তাই, বেশ কিছু বাজারে সকাল ১০ টার পরেও কেনাবেচা চলে। কিছু বাজারে মানুষকে মাস্ক পড়তেও দেখা যায় না, চলে দেদার জনসমাগম। তবে, বেশ কিছু বাজার ১০ টার পরেও খোলা জেনে কিছু সময়ের মধ্যে পুলিশ সেখানে গিয়ে বাজার বন্ধ করে দেয়, মানুষকে সচেতন করতে মাইকে প্রচারও করে পুলিশ।

গতকাল সকালে শহরের একাধিক রাজপথে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে প্রচুর পুলিশকে দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সংখ্যা কমতে থাকে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, রাস্তার মোড় হয়ে পড়ে পুলিশ শূন্য। কয়েকটি রাস্তায় একজন বা দুজন পুলিশকে দেখা যায়। যার ফলে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। প্রচুর গাড়িকে কলকাতার রাস্তায় ঘুরতে দেখে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও গতকাল লকডাউনে ঢিলেঢালা দেওয়ার বিষয়টি অনেক পুলিশই মেনে নেননি। ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিত্‍ সিংহ এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, গতকাল সারাদিন শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ছিল। গাড়ি দাঁড় করিয়ে পরিচয় পত্র দেখা হয়েছিল। আগামী দিনেও সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ করবে পুলিশ। আবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার(সদর) শুভংকর সিংহ জানান, গতকাল শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ছিল। গতকাল মানুষকে সচেতন করতে মাইক নিয়ে পুলিশ প্রচার করেছে।

কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা অন্যরকমই। বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী জানিয়েছেন, গতকাল তিনি স্কুটারে করে হাওড়া থেকে তাঁর অফিস পর্যন্ত এসেছিলেন। কিন্তু কোথাও কোন পুলিশকে গাড়ি আটকাতে দেখেননি। ধর্মতলার একস্থানে গতকাল একজন মাত্র পুলিশকে দেখা গিয়েছিল। এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানালেন, নিজাম প্যালেস ও রাজভবনে সমস্ত পুলিশ চলে গেছেন। দু- একজন পুলিশ তাঁর মত এদিক ওদিক রয়েছেন।

গতকালের অবস্থা দেখে অনেকেই নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। পুলিশের যদি সক্রিয়তা না থাকে, তবে লকডাউন করে কি লাভ? অনেকেই বলছেন, গতকাল যে চিত্র দেখা গেছে, তা যদি প্রতিদিন চলে, তবে লকডাউন করেও করোনা সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। পুলিশের সক্রিয়তাই যদি না থাকে, তবে কড়াকড়ি, লকডাউন কোন কিছুতেই, কোনো কাজ দেবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!