এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূল নেতাদের ঠিকুজি-কুস্তি সব জোগাড় করে ফেলেছেন পিকে! তাঁর পরামর্শেই সাজছে সংগঠন? জল্পনা

তৃণমূল নেতাদের ঠিকুজি-কুস্তি সব জোগাড় করে ফেলেছেন পিকে! তাঁর পরামর্শেই সাজছে সংগঠন? জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ফলাফল খুব একটা ভালো না হওয়ার পরই দলের রণনীতিকারের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রশান্ত কিশোরের ওপর। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই নানা জায়গায় তৃণমূল নেতাদের মানুষের সাথে জনসংযোগ সহ কোন কোন বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে, তার সমীক্ষা করে ফেলে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম।

আর যে সমস্ত জায়গায় মানুষ তৃণমূল নেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত, সেখানে কাকে দায়িত্ব দিলে দল ভালো জায়গায় পৌছবে, তার তথ্য জোগাড় করে সেই সমীক্ষক সংস্থা। আর সেই মোতাবেক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ে রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এখন বিভিন্ন জেলার সংগঠনের দায়িত্ব তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নেতাদের বসানো হচ্ছে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৈঠক হয়। কিন্তু এই বৈঠকের আধ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের একটা অংশ খবর ছড়িয়ে দিতে শুরু করে, জেলা সভাপতি আর একক ভাবে সমস্ত দায়িত্ব সামলাবেন না।

এবার থেকে জেলার সাংগঠনিক প্রক্রিয়া দেখভাল করবেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। শুধু তাই নয়, এর কিছুক্ষণ পরে আরও একটি খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে, জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়কে কার্যত সতর্ক করা হয়েছে। যার ফলে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে তৃণমূলের অঞ্চলে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সব থেকে বড় আশ্চর্যের ব্যাপার, এদিনের বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতাদের ঠিকুজি-কুষ্ঠি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌছে যায় বলে খবর আসে। আর এর পেছনে প্রশান্ত কিশোরের টিমের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা বৈঠক হলেও, সেভাবে জেলা নেতারা কি করছেন, কোন কাজের সঙ্গে জড়িত, এরকম কোনো খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ছিল না। কিন্তু এবার প্রশান্ত কিশোরের টিম যেভাবে প্রতিটি জেলায় নিজেদের মত করে সমীক্ষা করে নেতাদের সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেছে, তা রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে জেলা নেতৃত্ব বৈঠকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন তৃণমূলের একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বৈঠকে বসে মনে হচ্ছিল সব ব্লক নেতাকর্মীদের ঠিকুজি-কুষ্ঠিও প্রশান্ত কিশোরের কাছে আছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্রশান্ত কিশোর জলপাইগুড়িতে আসছেন বলে খবর। বিভিন্ন ব্লকে যাবেন। জলপাইগুড়ি ব্লক কমিটিগুলোর তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে জেলা কমিটি এখনও হয়নি।”

কিন্তু শুক্রবারের বৈঠক নিয়ে যেভাবে নানা গুঞ্জন তৃণমূলের মহলে ছড়িয়ে পড়েছে, তা কি সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে একটা জিনিস পরিষ্কার, অতীতের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থক্য যে অনেকটাই এবং প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তৃণমূল যে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে প্রশান্ত কিশোরের এই নজরদারি তৃণমূল নেতৃত্ব কতটা সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে এবং তার ফলে জেলার সংগঠনে কতটা পরিবর্তন আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!