এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের নতুন কমিটিতে কারা? বিরোধী দলে ভাঙ্গন কতটা? তীব্র জল্পনা শাসকদলের অন্দরেই!

তৃণমূলের নতুন কমিটিতে কারা? বিরোধী দলে ভাঙ্গন কতটা? তীব্র জল্পনা শাসকদলের অন্দরেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের ব্যাপক রদবদল হয়েছে। এককালে ছাত্র সভাপতি থাকার পর কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে এতদিন শুধুমাত্র কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার মালদহ জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি হয়েছেন প্রসেনজিৎ দাস। আর যুব সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই রীতিমত সেই সংগঠনকে শক্তিশালী করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রতিটি ব্লগে গিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে ভূত অঞ্চল এবং ব্লক কমিটি তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ বাবু আর তারপরেই জেলা কমিটি গঠনের দিকে এগোবেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রস্তুতিও শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের কমিটি তৈরিতে স্বচ্ছ এবং জনসাধারণের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জায়গা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাত্রাবস্থা থেকে রাজনীতি করা প্রসেনজিৎ দাস দায়িত্ব পাওয়ায় তৃণমূলের মালদহ জেলার যুব সংগঠন অনেকটাই চাঙ্গা হতে পারে। পাশাপাশি নানা মহলে এই জল্পনাও তৈরি হয়েছে যে, প্রসেনজিৎ দাসের হাত ধরে বিরোধী দল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টিতে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরতে পারে। কেননা তৃণমূলের যুব সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস হলেও, এখনও পর্যন্ত এই জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার কোনো সভাপতি নেই। ফলে তারা যুব আন্দোলনকে সেভাবে চাঙ্গা করতে পারছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই শাসকদলের পক্ষ থেকে যখন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে যুবদেরকে চাঙ্গা করার জন্য, তখন বিরোধী দল বিজেপি এই ব্যাপারে অনেকটাই পিছিয়ে থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইভাবে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মালদা বলে পরিচিত হলেও, এখানে কংগ্রেসের তেমনভাবে যুব সংগঠন নেই। প্রসেনজিৎ দাসের মত হেভিওয়েট নেতা যখন তৃণমূলের দায়িত্ব পেলেন, তখন বিরোধীরা নিজেদের যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করতে না পারলে শাসকদল অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা যুব তৃনমূলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “একক সিদ্ধান্তে নয়, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সংগঠনকে চালাতে চাই। মালদহে সংগঠনের একটি নিজস্ব ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত একগুচ্ছ কর্মসূচি নেব‌। কর্মীদের নতুন উদ্যমে বিজেপি বিরোধী প্রচারে নেমে পড়ার প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” কিন্তু তারা এখনও কেন যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পারছে না?

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দলের জেলা কমিটির নেতৃত্বে যুব মোর্চার সভাপতি পদের জন্য তিনটি নাম পাঠিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই যুব মোর্চার নতুন জেলা সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তৃণমূলের জেলা কমিটি নেই। আমাদের আছে। আসলে তৃণমূলের নেতা খামে বেছে নেওয়া হয়‌। আর আমাদের নেতা বেছে নেওয়া হয় সাংগঠনিক দক্ষতা বিচার করে।”

এদিকে এই ব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “যুব সংগঠনের কিছু দুর্বলতা নজরে এসেছে। নতুন করে যুব কংগ্রেসকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।” তবে কংগ্রেস বা বিজেপির পক্ষ থেকে এখন তাদের যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য যে উদ্যোগই নেওয়া হোক না কেন, প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল যুব কংগ্রেস যে নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন প্রসেনজিৎবাবু দলের দায়িত্ব পেয়ে যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করে বিরোধীদের কতটা চাপে ফেলে দিতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!