এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হুল দিবসের ধারা বজায় আদিবাসী দিবসেও! শুভেন্দুর “পাল্টা” কর্মসূচি নিয়ে উত্তাল তৃণমূলের অন্দর

হুল দিবসের ধারা বজায় আদিবাসী দিবসেও! শুভেন্দুর “পাল্টা” কর্মসূচি নিয়ে উত্তাল তৃণমূলের অন্দর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলের সঙ্গে কি ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারীর? অতীতে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও, সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানেও একই ভূমিকায় দেখা গেল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, রবিবার আদিবাসী দিবসের রাজ্য সরকারের আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও, অনুপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হুল দিবসের মত শুভেন্দুবাবু কেন আদিবাসী দিবসে অনুপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। জানা গেছে, এদিন যেখানে এই আদিবাসী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে যোগ না দিয়ে রামগড়ে আদিবাসী ক্লাবের আয়োজনে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে বক্তব্য রাখলেও, একবারও তৃনমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম মুখে আনেননি তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মূলত আদিবাসী সমাজের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেই বক্তৃতা শেষ করতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু কেন তিনি উপস্থিত থাকলেন না সরকারি অনুষ্ঠানে? এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ঝাড়গ্রাম শহরের অনুষ্ঠানে আমার ডাক ছিল। কিন্তু ফিরে গিয়ে তমলুকে ভারত ছাড়ো আন্দোলন স্মরণে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে। তাই ফিরে যেতে হবে। তাই আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” কিন্তু তিনি যেমন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, ঠিক তেমনই তো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী! সেদিক থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত মন্ত্রী যোগ দিলেও, তার এমন কি ব্যাস্ততা ছিল, যার কারনে এই অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন তিনি? একাংশের মতে, সম্প্রতি তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদ শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হবে বলেও তার অনেকটাই ডানা ছাটা হয়েছে।

বিভিন্ন জেলায় পর্যবেক্ষক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। শুধু তাই নয়, তাকে শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য করে তার জেলা থেকে যুব তৃনমূলের সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবুর ক্ষমতা যে অনেকটাই খর্ব করছে তৃণমূল নেতৃত্ব, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। আর এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করতে পারেন বলে নানা মহলে জল্পনা চলছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে তাহলে কী দলকেই বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তবে শুভেন্দু অধিকারী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শুভেন্দু এলে ভালো লাগত। এই বিষয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাই না আমি বিতর্ক করতে ভালোবাসি না।” কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, হুল দিবসের মত আদিবাসী দিবসে শুভেন্দু অধিকারীর এই অনুপস্থিতি এখন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি করেছে। তবে সরকারি অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবুর অনুপস্থিতি রাজনৈতিক জগতে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!