প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চাপানউতোর লেগেই রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি জোকায় চা চক্রে যোগ দিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শোনা গেছে দিলীপ ঘোষকে। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা ঝাণ্ডা খুলে নিয়ে গিয়েছেন, ওই ঝাণ্ডা নিয়ে জয় শ্রীরাম বলতে বলতে বিজেপির সভায় আসতে হবে।”

অন্যদিকে, যেখানে অমিত মালব্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কটাক্ষ করেছেন, সেখানে এদিন দিলীপ ঘোষ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে লাগাম ছাড়া বিল। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল নীল-সাদা রঙে সেজে উঠলেও, তাতে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। মানুষকে চিকিৎসা করাতে দক্ষিণ ভারতে যেতে হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায়, “যাঁরা বিজেপির ঝাণ্ডা খুলছেন, তাঁদের সবাইকে ঘাড় ধরে বিজেপিতে আনা হবে, আর জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে হবে।” এদিন তিনি বলেন, জয় বাংলা বলে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। তাঁর কথায়, “জয় শ্রীরাম শুনলেই দিদিমনির শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গায়ে কিসের রক্ত রয়েছে?” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, “লজ্জা করে না, রামের দেশে রয়েছেন, আর হারামীর মতো কাজ করছেন।”

শুধু তাই নয়, এখানে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে দলবদলের কথাকে সামনে এনে তিনি বলেন, “অর্ধেকের বেশি তৃণমূল কাউন্সিলর লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছে, কবে কার হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেওয়া হবে তার জন্য।” তাঁর কথায়, পুলিশও বলছে বিজেপিকেই চাই। এদিন তিনি বলেন, আগে পুলিশের লোকেরা তাঁর গাড়ি দেখলে উল্টো দিকে মুখ করতেন।

তবে এখন দূর থেকে ইশারা করে বলেন, ‘দাদা আছি।’ এদিন তিনি পুলিশ প্রশাসন প্রসঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে পুলিশের যা অসম্মান করা হয়েছে, ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে তা হয়নি। তাঁর কথায়, পুলিশকে বাড়ির চাকর বানানো হয়েছে। আইপিএস অফিসাদের দাঁড় করিয়ে মা-বাপ তুলে গালাগালি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, “২০১৬ সালে দিদিমনি পুলিশ কর্মীদের বলেছিলেন, নাম লেখান, কমদামে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। পুলিশের বহু লোক নাম লিখিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, জমি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তা ফ্ল্যাট কি আকাশে হবে।” সেইসঙ্গে CAA নিয়েও বলতে শোনা গেছে তাঁকে। এদিন তিনি বলেন, “আপনারা কি চান দেশটা দ্বিতীয় বাংলাদেশ হয়ে যাক? আপনারা আরেকবার উদ্বাস্তু হোন?

তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব দিতে পারেননি। বিজেপি দিতে চাইছে। কিন্তু তাতেও মমতা সরকার বাধা দিচ্ছে। আর যাঁরা সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনীতি করছেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এদের একটাই উদ্দেশ্য যাতে সবাই পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে চলে যান। তবে বিজেপি বাঙালিকে আর উদ্বাস্তু হতে দেবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কথায়, বীরভূমে এসপি, ডিএম কেষ্টর সামনে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ধর্না দিয়ে পড়ে আছে। এই দৃশ্য ভারতে কেউ কোনোদিন দেখেননি বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে সেইসঙ্গে তাঁর মতে, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাবে। উর্দির সম্মান তাঁরা দেবেন বলেই জানিয়েছেন। সেসঙ্গে তাঁর কথায়, মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে যাঁরা বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাঁরাই কষ্ট করছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।