এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগুনে পুড়ে গেল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের সম্পত্তি! অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে

আগুনে পুড়ে গেল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের সম্পত্তি! অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে

 

পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের শাসক দল। তাই বরাবরই ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু সম্প্রতি কিছুটা উলটপুরান দৃশ্য দেখা গেল পাঁশকুড়া থানার মাইসোর এলাকায়। সেখানে বলরামপুর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা চন্দনা সিংহের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। যার ফলে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ির সামনের কিছু অংশ এবং স্কুটি, আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শনিবার দিন সকাল বেলা ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আর এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা চন্দনা দেবী।

জানা যাচ্ছে, চন্দনাদেবীর স্বামী ঝন্টু সিংহ কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন। তাই বাড়িতে নিজের দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে একলাই থাকেন চন্দনা সিংহ। আগুন ধরানোর ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা ভারতীয় জনতা পার্টির দিকে আঙ্গুল তোলেন। তবে বিজেপির তরফ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, শর্ট-সার্কিট অথবা রান্নাঘর থেকে কোনোভাবে আগুন লেগেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত অক্টোবর মাসের 7 তারিখে মাইসোর বাজার এলাকায় নিহত হন তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কুরবান শা। আর এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীদের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পুলিশের তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ জন নেতাকর্মীকে দেহরক্ষী প্রদান করা হয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি খুনের ঘটনায়।

ইতিমধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা আনিসুর রহমান সহকারে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের দিকে আতঙ্কের পরিবেশ থাকলেও, বিগত দিনে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পরে পরিস্থিতিতে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। এদিন অগ্নিসংযোগের বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে তৃণমূলের চন্দনা সিংহ বলেন, “এলাকার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি বলরামপুরে ও অনেক ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী আমাদের দলে যোগদান করেছেন। ওই যোগদানের পিছনে আমার ভূমিকা আছে। সম্ভবত সেই কারণেই বিজেপির একটা অংশ আক্রোশবশত আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে।”

এই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “রাত্রি দশটা নাগাদ একটা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি স্কুটি জ্বলছে। তেলের ট্যাংকি ফেটে গিয়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। দুই মেয়ে সহ আমরা চিৎকার করতেই প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। পাশাপাশি আগুন নেভানো হয়।” যদিও চন্দনাদেবীর সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করে ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সম্পাদক নীলাঞ্জন অধিকারী।

তিনি বলেন, “পাঁশকুড়ার ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে যাই বলুক না কেন, আসলে গোটা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে পুলিশের তরফ থেকে যেহেতু শর্ট-সার্কিট অথবা রান্নাঘর থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, সেহেতু আপাতদৃষ্টিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ কিছুটা হালকা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!