এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একের পর এক পঞ্চায়েত পুনর্দখল – উত্তরবঙ্গে কি ক্রমশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল?

একের পর এক পঞ্চায়েত পুনর্দখল – উত্তরবঙ্গে কি ক্রমশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল?

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল একটি আসনও দখল করতে পারেনি। আটটির মধ্যে সাতটি আসনেই ফুটেছিল পদ্মফুল। এবার যেন অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করল সেই উত্তরবঙ্গে। সূত্রের খবর, বুধবার মাথাভাঙা মহাকুমার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত পুনর্দখল করল তৃণমূল।

মাথাভাঙ্গা 1 ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে অশান্তির পর তৃণমূলের প্রধান সেই অফিসে যাওয়া বন্ধ করেলেও এদিন সদলবলে তিনি পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে নিয়ে অফিসে গিয়ে নিজেদের কাজ শুরু করেন। অন্যদিকে মাথাভাঙ্গা 2 ব্লকের উনিশবিশা এবং রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এদিন দখল করতে দেখা গেল তৃণমূলকে।

বস্তুত, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা বিজেপিতে যোগদান করলেও এদিন আবার তারা তৃণমূলে যোগদান করেন। সূত্রের খবর, এদিন তাদের দলে যোগদান করিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “উনিশবিশা এবং রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের টিকিটে জিতে আসা সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপি নিয়ে গিয়েছিল। এদিন তারা আমাদের দলে ফিরে এসেছেন। বিজেপি ভয় দেখিয়ে ওদের বাড়ি ভাঙচুর করার হুমকি দিয়ে দলে যোগদান করাতে বাধ্য করেছিল। ওনারা কেউ কাজ করতে পারছিলেন না। তাই কাজ করতেই আবার সকলে তৃণমূলে ফিরে এলেন।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে শীতলকুচি তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মণ বলেন, “নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা করার জন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে নির্বিঘ্নে সাধারণ সভা করেছেন। গন্ডগোলের পর থেকে বিজেপি ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল। তাই প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা কয়েকদিন অঞ্চল অফিসে যাননি।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মাথাভাঙ্গা 2 ব্লকের উনিশবিশা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট 20 জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলের 15 এবং বিজেপির 5 জন সদস্য জয়লাভ করেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখল করলে প্রধান সহ তৃণমূলের 15 জন সদস্যই বিজেপিতে নাম লেখান। ফলে এই পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির।

কিন্তু এদিন এই পঞ্চায়েতের 15 জন সদস্য ফের তাদের পুরনো দল তৃণমূলে যোগ দেন। যার ফলে বিজেপির কাছ থেকে এই পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেয় ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা প্রথমে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেও এদিন সেই 14 জন সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান। যার ফলে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা পেয়ে রীতিমতো উজ্জীবিত হয়ে গেছে শাসক শিবির।

কিন্তু তাহলে কি উত্তরবঙ্গে লোকসভায় তাদের যে জনসমর্থন ছিল তা ধীরে ধীরে কমছে! এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ সরকার বলেন, “কয়েকদিন আগেই তৃণমূল আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের তুলে নিয়ে যায়। এদিন তাদের নিয়ে এসে চূড়ান্ত নাটক করা হল। কেউ যদি দল পরিবর্তন করে থাকেন, তাহলে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না।” তবে বিজেপি নেতা যাই বলুন না কেন, যেভাবে উত্তরবঙ্গে একের পর এক পঞ্চায়েতের দখল নিতে শুরু করেছে তৃণমূল, তাতে বিজেপির ভোটব্যাংকে ভাটা পড়ছে কিনা! এখন সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!