এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী কমিটি নিয়ে অসন্তোষ! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জর্জরিত তৃণমূল, কটাক্ষ বিরোধীদের!

তৃণমূল প্রার্থীর নির্বাচনী কমিটি নিয়ে অসন্তোষ! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জর্জরিত তৃণমূল, কটাক্ষ বিরোধীদের!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলেও, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এখন যেন সব থেকে বড় অস্বস্তির কারণ তাদের কাছে। যার ফলে রীতিমত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেও প্রচার পর্বে হোঁচট খেতে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীরের নির্বাচনী কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেখানে হুমায়ুন কবীরের কাছের লোকদের এই নির্বাচনে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর লোকেদের কমিটিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে তৃণমূলের একাংশ। যার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হুমায়ুন কবীর তার যে নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছেন, সেখানে অনেক তৃণমূল নেতা জায়গা পাননি। যার মধ্যে রয়েছেন ভরতপুর এক নম্বরের পশ্চিমাঞ্চলের ব্লক সভাপতি, বিধানসভা এলাকায় 12 জন পঞ্চায়েত প্রধান, 12 জন অঞ্চল সভাপতি, তিনজন জেলা পরিষদ সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই এরা সকলেই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বলেই পরিচিত। তাই তাদের এই নির্বাচনী কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে খড়গপুর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন সিজার বলেন, “এখানে সব ব্লক সভাপতির নাম নেই। কংগ্রেস এবং সিপিএমের লোক ঢুকে আছে। 12 জন অঞ্চল প্রধানের নাম নেই। 4 জন জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে একজনের নাম রয়েছে। প্রার্থী সকলকে বাদ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে।”

ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “এটাই তো ওদের কালচার।” কিন্তু তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কেন? কেন তিনি সকলকে নিয়ে চলতে পারছেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হুমায়ুন কবীর বলেন, “নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী ঠিক করবে, কাকে রাখবে, কাকে রাখবে না, কোন প্লেয়ারকে রিজার্ভে রাখা হবে, সেটা প্রার্থী হিসেবে আমিই ঠিক করব।”

যদিও বা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান। তবে গোটা পরিস্থিতিতে তৃণমূল যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে এবং বিদ্রোহ যে ক্রমশ বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!