নির্মল বাংলার শৌচাগার পাচ্ছে তৃণমূল পার্টি অফিস,চাঞ্চল্য এলাকায় কলকাতা রাজ্য July 14, 2019 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই তৃনমূল এবং প্রশাসন এক হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে দেখা যেত বিরোধীদের। স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি রাজ্যের বর্তমান মা মাটি মানুষের সরকারের ছত্রেছত্রে রয়েছে বলেও সরব হতেন বিরোধী দলের নেতারা। নিন্দুকদের অনেকেই বলতেন, আসলে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে তৃণমূল নেতাদের চেহারাই হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে। আর এবার নিন্দুকদের সেই অভিযোগকে সত্যি করে তৃণমূলের কার্যালয়ের পাশেই মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের আওতায় শৌচাগার তৈরি হওয়া নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, মেদিনীপুরের 1 নম্বর ওয়ার্ডের তোরাপাড়ায় তৃণমূলের যুব সংগঠনের একটি দলীয় কার্যালয়ে রয়েছে। আর সেই কার্যালয়ের পাশেই এই নির্মল বাংলা প্রকল্পের শৌচাগারটি বানানো হয়েছে। আর এই শৌচাগার যে উপভোক্তার নামে রয়েছে, তার নাম পবন নায়েক। কিন্তু এই ঘটনাতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন যে, কোনো শৌচাগার যদি কোন উপভোক্তার নামেই হয়, তাহলে তা কেন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাশে হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, “দলীয় কার্যালয়ের পাশে শৌচাগার করে এভাবেই সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহার করছে তৃণমূল। কে এই নির্মাণের অনুমতি দিলেন, তার তদন্ত হওয়া উচিত।” তবে বিজেপির এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিন এই প্রসঙ্গে ওয়ার্ড তৃণমূল সভাপতি স্বপন পাল বলেন, “শৌচাগারটি রাস্তার পাশে রয়েছে। স্থানীয়দের সুবিধার্থেই এটা তৈরি করা হয়েছে।” একই কথা বলেছেন এই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অনিমা সাহা। কিন্তু সত্যিই কি এইভাবে দলীয় কার্যালয়ের পাশে শৌচাগার তৈরি করা ঠিক! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “আমি বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে জানাব।” সব মিলিয়ে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প শৌচাগার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাশে হওয়ায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হল। আপনার মতামত জানান -