এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরবোর্ড নাকি তৃণমূলের পার্টি অফিস! নবান্নের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ

পুরবোর্ড নাকি তৃণমূলের পার্টি অফিস! নবান্নের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে ক্রমশ


করোনা ভাইরাসের কারণে রাজ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন করানো সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে রাজ্য সরকার সেই পৌরসভাগুলোতে প্রশাসক বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, সেখানে বিদায়ী বোর্ডের মেয়র বা চেয়ারম্যান এবং তার সঙ্গে কাউন্সিলারদের সেই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে প্রাক্তন মেয়র চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রাধান্য পেলেও এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভায় তৃণমূল বিধায়ক এবং তৃণমূল সাংসদ প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হওয়ায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হল। আর বিরোধীদলের কাউন্সিলার না থাকলেও কেন তৃণমূলের এই বিধায়ক এবং সাংসদকে সেই প্রশাসক বোর্ডে রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ।

বস্তুত, 20 মে মেয়াদ শেষ হয়েছে দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেসেই প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সেই পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অমলেন্দু ভূষণ সরকারের নাম সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এছাড়াও সেই পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে আরও 4 জন ব্যক্তিকে যার মধ্যে দুজন গঙ্গারামপুর পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার যথাক্রমে রাকেশ পন্ডিত এবং অশোক বর্ধন। তবে এত পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও, কেন গঙ্গারামপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দাস এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে সেই পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক বোর্ডে কাউন্সিলরদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে এই তৃণমূল বিধায়ক এবং এই তৃণমূল সাংসদ গঙ্গারামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের সেই বোর্ডে রাখা হল শুধুমাত্র শাসক দলের আধিপত্য বিস্তারের জন্য। আর এই গোটা ঘটনায় এখন কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বালুরঘাট পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেখানকার প্রশাসক করে দেওয়া হয়েছিল অর্পিতা ঘোষকে।

আর এবার গঙ্গারামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর না হওয়া সত্ত্বেও, তাকে কেন সেখানকার প্রশাসক করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বালুরঘাটের পর গঙ্গারামপুর একের পর এক পৌরসভায় রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের প্রশাসক বসানো হচ্ছে। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্বে রাখা হয়নি। আমাদের দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসক বসানো নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।” তবে এই ব্যাপারে কি বলছেন প্রশাসক বোর্ডে থাকা অর্পিতা ঘোষ!

এদিন এই ব্যাপারে গঙ্গারামপুর পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বলেন, “হেভিওয়েট বলে কিছু জানি না। আমরা টিমওয়ার্ক করে উন্নয়নমূলক কাজ করায় বিশ্বাসী। বালুরঘাট পৌরসভার ক্ষেত্রেও আমাকে প্রশাসকের কমিটিতে রাখা হয়েছে। সেখানে আমরা সুন্দরভাবে শহরের মানুষদের কাজ করে চলেছি। প্রশাসনিক কাজকর্ম করার আমার অভিজ্ঞতা থাকার জন্যই রাজ্য সরকার আমাকে আবার গঙ্গারামপুরের দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা পাঁচজন মিলে শহরের কাজ করব।”

এদিকে তাকে প্রশাসক করা হলেও, এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে তিনি কোনো সরকারি চিঠি পাননি। তবে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি তা পালন করবেন বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম দাস। কিন্তু অর্পিতাদেবী হোক বা গৌতমবাবু, তারা যে কথাই বলুন না কেন, গঙ্গারামপুর পৌরসভায় বিরোধীদের কাউন্সিলার থাকা সত্ত্বেও, কেন তৃণমূল কাউন্সিলর না হয়েও বিধায়ক এবং রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সেই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হতে পারলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আর বিরোধীদের এই প্রশ্নের জেরে শাসক দলকে এখন যে চরম অসুবিধার মুখে পড়তে হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!