এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল-পিকের সম্পর্ক নিয়ে এবার জোর চাঞ্চল্য! প্রতিনিয়ত নজরদারিতে ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতৃত্বও! জল্পনা তুঙ্গে ক্ষুব্ধ

তৃণমূল-পিকের সম্পর্ক নিয়ে এবার জোর চাঞ্চল্য! প্রতিনিয়ত নজরদারিতে ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতৃত্বও! জল্পনা তুঙ্গে ক্ষুব্ধ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে ব্যাপকভাবে পর্যুদস্ত হওয়ায় আতঙ্ক গ্রাস করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। 42 এ 42 স্লোগান তুলেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর তারপরেই সেই হার সহ্য করতে না পেরে বিজেপিকে জবাব দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দেখা যায়, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত বাম আমলে এক কৌশল তৈরি করে বামেদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের রণনীতিকার করে দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোরকে। আর তারপরেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেছিলেন, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বুদ্ধি প্রয়োগের সময় শেষ হয়ে এল! এবার কি তাহলে প্রশান্ত কিশোরের হাতে দল পরিচালনার ভার তুলে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী! তবে সমালোচক মহলের তরফ থেকে এই প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব।

বাংলার গর্ব মমতা থেকে শুরু করে দিদিকে বলো কর্মসূচি, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তবে প্রশান্তবাবু তৃণমূলের ভাবমূর্তি ফেরাতে এবং 2021 সালে তৃণমূলকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য স্বচ্ছ মুখদের সামনে আনার কথা বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি যাতে কোনোভাবেই না হয়, তার জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিচুতলার নেতাদের বার্তা দেওয়ার কথা বলেছিলেন বিশিষ্ট নির্বাচনী রননীতিকার। তবে বর্তমানে ভয়াবহ আমপান দুর্যোগ থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাস, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জায়গায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি সামনের সারিতে উঠে আসছে।

আর বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির সামনে উঠে আসতেই বিরোধীরা তা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ছে। যার ফলে অস্বস্তিতে করছে শাসক দল। আর এই পরিস্থিতিতে এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে কোনোভাবেই তৃণমূলকে 2021 সালে ক্ষমতায় ফেরানো যাবে না বলে প্রশান্ত কিশোর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে বলে খবর। যার ফলস্বরুপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশ মোতাবেক বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে পড়া নেতাদের বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, প্রশান্ত কিশোরের এই বাড়তি নজরদারি তৃণমূলের অনেকেই সহ্য করতে পারছেন না। অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, প্রশান্ত কিশোর যেটা করছেন, সেটা আদতে নাক গলানো ছাড়া আর কিছুই নয়। দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সামনে সামনি মুখ না খুললেও অনুগামীদের কাছে এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন দলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা।অন্যদিকে এই নিয়ে নাকি অনেকেই নেত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেই দাবি করেছেন তবে বিড়ালের গলায় ঘন্টি কে বাধবে সেই নিয়ে এখনো পেহেলে আপ, পেহেলে আপ চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তার থেকেও বড় অভিযোগ উঠছে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নেতাদের কোনো স্বাধীনতা নেই, কার সাথে কথা বলছে, কি করছে সব কিছুর ডিটেলস চাওয়া হচ্ছে, ঠিক ঠাক উত্তর না মিললে হাজার প্রশ্ন, স্বাধীনভাবে
কথা বলা, কাজ করা কোনোটাই হচ্ছে না। প্রশান্ত কিশোরে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে, দলের অন্দরের অনেক ভালো কর্মীকে নাকি খারাপ বলে দাবি করা হচ্ছে, যার জেরে সেই সব নেতারা পদ হারাচ্ছেন আর অনুগামীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।মানে এককথায় নজরদারিতে রয়েছেন নেতা মন্ত্রীরা। কোনো বেফাঁস কথা বললেই হাজার কথা শুনতে হচ্ছে ,যা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকের কথায় যেন কোনো স্কুলের স্যারের পাল্লায় পড়েছেন।

সেদিক থেকে অনেক ভাল কর্মী প্রশান্ত কিশোরের নজরে পড়ে রিপোর্টের ভিত্তিতে দলের কাছে খারাপ হয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে প্রশান্তবাবুর রিপোর্টকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একের পর এক নেতাকে বহিষ্কার করায় বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেদিক থেকে এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে 2021 এ আদৌ কত কর্মী মন প্রাণ দিয়ে তাদের হয়ে ময়দানে নামবেন, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।

তাই প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নিলেও তাঁর এই স্বক্রিয়তাকে অতি বাড়াবাড়ি হিসেবেই দেখছেন তৃণমূলের অনেকে। যার ফলে প্রকাশ্যে কেউ সরব না হলেও, তলায় তলায় অনেকেই এই ব্যাপারে আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার যদি সত্যি সত্যি প্রশান্ত কিশোরের এই উদ্যোগকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখতে শুরু করে তৃণমূল নেতৃত্ব, তাহলে তাদের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বনিবনা হবে না। যার ফলে দলের রণনীতিকারের অনেক বক্তব্যই শুনবেন না তৃণমূলের অনেকে।

আর এতে বিরম্বনা বাড়বে। আর যদি তৃণমূলের রাজনৈতিক রননীতিকারের সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতা থেকে কর্মীদের দ্বৈরথ শুরু হয়, তাহলে তা সামাল দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড়সড় অস্বস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তৃণমূলের একশ্রেণীর নেতৃত্বের এই দ্বৈরথ বন্ধ করতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!