এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভদ্রভাবে রাজনীতি তৃণমূল বোঝে না! ডাকাবুকো তৃণমূল নেতাকে দলে নিয়েই হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের

ভদ্রভাবে রাজনীতি তৃণমূল বোঝে না! ডাকাবুকো তৃণমূল নেতাকে দলে নিয়েই হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পাখির চোখ 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার প্রস্তুতি হিসেবে লকডাউন পর্ব শিথিল হতে না হতেই এখন খেলা দেখাতে শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। মাঝে কিছুদিন দলবদলের পালা বন্ধ থাকলেও, এবার ফের তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতাদের দলে নিয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান বড়জোড়ার মালিয়ারা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য বাপ্পা চন্দ্রাধূর্য। যেখানে তার সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান সেই পঞ্চায়েতের আরও চারজন সদস্য, বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্য সহ মোট 127 জন তৃণমূল কর্মী।

জানা গেছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে মালিয়াড়ার একটি বুথের রিটার্নিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এই বাপ্পা চন্দ্রাধূর্যের বিরুদ্ধে। এদিন সেই তিনিই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বাপ্পাকে সাথে নিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের মারপিট আটকানোর জন্য আমাদের এমন ছেলেই দরকার। ছোটখাটো দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েও আমাদের কর্মীরা হামলার মুখে পড়েছেন। ভদ্রভাবে রাজনীতি তৃণমূল বোঝে না। এবার আমরা এমন ছেলেদের দিয়ে উত্তর দেব। লোকসভা নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, বাঁকুড়ার মানুষ আমাদের পাশে আছেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূল শূন্য হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ দিলীপ ঘোষের এই কথা থেকে স্পষ্ট যে, তিনি তৃণমূলকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপি এতদিন অভিযোগ তুলেছিল, তাদেরকে সন্ত্রাস করে আটকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এবার তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতাদের নিজেদের দলে টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তৃণমূল যদি এবার তাদের উপর হামলা করে, তাহলে তারাও ছেড়ে কথা বলবে না। কিন্তু হঠাৎ তারা তৃণমূল ছাড়লেন কেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বাপ্পা চন্দ্রাধূর্য বলেন, “আমাদের দল বদলের ফলে মালিয়ারা পঞ্চায়েতের পাঁচটি আসন এবং বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসন বিজেপির হাতে এল। আগামী দিনে আরও বহু জনপ্রতিনিধি এবং তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন।” তবে এই দলবদলকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, “বিজেপির মত বিশৃংখল দলেই বাপ্পাকে মানায়। তৃণমূলে এমন লোকের কোনো জায়গা নেই।” তবে শ্যামলবাবু এখন এই কথা বললেও, এতদিন বাপ্পা তাদের দলের সম্পদ হিসেবে পরিচিত ছিল। ফলে তার মত হেভিওয়েট ডাকাবুকো নেতা এখন বিজেপিতে যাওয়াতেই তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এই ধরনের কথা বলছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে বাঁকুড়া থেকে বিজেপিতে বিপুল মাত্রায় যোগদান জেলা রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনো নতুন সমীকরণ আনে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!