এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ বাঁচাতে “দোষ” পঞ্চায়েতের ঘাড়ে চাপিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরানো শুরু তৃনমূলের প্রভাবশালীদের!

মুখ বাঁচাতে “দোষ” পঞ্চায়েতের ঘাড়ে চাপিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরানো শুরু তৃনমূলের প্রভাবশালীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া নিয়ে বর্তমানে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। তবে দুর্নীতিগ্রস্ত যারা আছেন, তাদের সকলকেই টাকা ফেরতের নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মথুরাপুর 2 ব্লকের 103 জনের কাছ থেকে সরকারি ক্ষতিপূরণের এই টাকা প্রশাসনের কাছে ফেরত এসেছে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রায় 2 হাজার 100 টি ভুয়ো ক্ষতিপূরণের অভিযোগ এসেছে। আর যদি এই সমস্ত অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে সরকারের কাছে মোট 4 কোটি 20 লক্ষ টাকা ফেরত আসার কথা।

কেননা ইতিমধ্যেই বাড়ি মেরামতি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর তার মধ্যে মথুরাপুর 2 ব্লকে প্রায় 103 জনের মত মানুষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রশাসন পাওয়ায় এখন নানা মহলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, সোমবার মথুরাপুর টু ব্লকের কুমরোপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার কাছারিপাড়া গিয়ে দেখা যায় যে, পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের স্বামী ক্ষতিপূরণের কুড়ি হাজার টাকা পেয়েছেন। যেখানে তাদের কোনো কিছু ক্ষতি হয়নি, সেখানে তারা কেন এই টাকা পেলেন! তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পারুল মজুমদারের স্বামী জ্ঞানরঞ্জন মজুমদার বলেন, “বহু গরিব মানুষ টাকা পাননি। তাই টাকা ফেরত দেব বলে ঠিক করেছি। পঞ্চায়েত থেকে তালিকা তৈরি হয়েছিল। কিভাবে আমার নাম উঠল জানি না।” একইভাবে এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হামিদা বিবি মোল্লা নিজের এবং তার স্বামী সন্তানের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা ইতিমধ্যেই টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন হামিদা বিবি। ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা হেভিওয়েট তৃণমূলের দাপুটে নেতাদের বাড়িতে কিছু না হওয়া সত্বেও তাদের বাড়িতে যেভাবে সেই টাকা পৌঁছে গেছে, তা নিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে লিয়াকৎ মোল্লা নামে এক বাসিন্দা বলেন, “ওইসব বাড়ির লোক ক্ষতিপূরণের কুড়ি হাজার টাকা পেয়েছেন। অথচ আমরা এই দৈন্যদশায় বাস করছি।” সত্যিই তো তাই! তাহলে কি রবি ঠাকুর তাঁর কবিতাতে ঠিকই লিখেছেন! “এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি!”

জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে সাহায্য করবেন। কিন্তু সেই জায়গায় যেভাবে তারা ভয়াবহ দুর্যোগের টাকাতেও ভাগ বসাতে ছাড়ছেন না, তাতে গরীব মানুষেরা কার্যত সহায় সম্বলহীন হয়ে যাচ্ছে বলেই দাবি করছেন সকলে। কেন এমনটা হবে? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অলোক হালদার বলেন, “অনেকে টাকা খরচ করে ফেলেছে বলে জানতে পারছি।”

একইভাবে এই বিষয়ে সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “টাকা উদ্ধার করলেই কি সাত খুন মাপ? শাস্তির ব্যবস্থা হবে না! কিন্তু কেন তাদের পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে? কেন তারা তা সামাল দিতে পারছেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল নেতা শান্তনু বাপুলি বলেন, “কারা টাকা তুলেছে, সর্বদলীয় কমিটি করে তা দেখা শুরু হয়েছে।” সব মিলিয়ে এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হতেই যেভাবে মথুরাপুর 2 ব্লকের বিপুলসংখ্যক টাকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা প্রকাশিত হল, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য বাড়ছে প্রশাসনের অন্দরে এখন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। বেরোনোর প্রবণতা কতটা বৃদ্ধি পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!