আগামী দিনে তৃণমূলের প্রভাবশালীদের দলে পেতে আপাতত সিপিএমকে ভাঙতেই জোর দিচ্ছে বিজেপি? কলকাতা রাজ্য June 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 সালে রাজ্যের ক্ষমতা দখল বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট। তাই বর্তমানে দলবদলের প্রক্রিয়াকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের উদ্দেশ্য, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভাঙ্গা। কিন্তু সেভাবে তৃণমূলের ঘর ভাঙতে পারছে না গেরুয়া শিবির। এমত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিএমের ঘর ভাঙতে এবার উদগ্রীব হল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে সিপিএমকে ভেঙে তাদের কর্মী সমর্থকদের নিজেদের দলে এনে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ জানানোর পন্থা বেছে বেছে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, সম্প্রতি বলাগড়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে ব্যাপক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু সেভাবে প্রভাবশালী কোনো তৃণমূল নেতাকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে দেখা যায়নি। তবে এক্ষেত্রে সিপিএমের ঘর ভাঙতে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে কোন্নগর পৌরসভার সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর দিবাকর রাওকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন তারা। আর এতেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তৃণমূলের নিচুতলার কিছু কর্মী সমর্থক বিজেপিতে গেলেও সেভাবে কোনো হেভিওয়েট নেতা বা কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছে না। যার ফলে বিজেপি কিছুটা চাপে পড়ছে ঠিকই। কিন্তু তারা এখন টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে সিপিএমকে। আর তাই তৃণমূল বিরোধিতায় মশগুল থাকা সিপিএমের ঘর ভেঙে এখন বিজেপি তাদের দিকে নিয়ে এসে তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটব্যাংক বাড়ার পেছনে রয়েছে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বিজেপিকে সমর্থন। তাই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অপেক্ষা সিপিএমের ঘর ভাঙতে বেশি উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা বিজেপি সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা আমাদের দলে আসেননি। তবে আগামী দিনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত ও পৌরসভার কিছু প্রাক্তন সদস্য আমাদের দলে এসেছেন।” কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তো লোকসভার থেকেও খারাপ অবস্থা হবে সিপিএমের! কেন তারা তাদের দলে বিজেপির এই ভাঙ্গনকে আটকাতে পারছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য ভিত্তিহীন প্রচার করছে। বিজেপি থেকেই আমাদের দলে লোকজন ফিরে আসছেন। কারণ তারা বুঝছেন, বিজেপি একটি প্রচার সর্বস্ব দল।” এদিকে বিজেপির তরফে যখন দাবি করা হচ্ছে যে, সিপিএমের কর্মী সমর্থক তাদের দিকে আসছে এবং তাকে কার্যত নস্যাৎ করে দিচ্ছে সিপিএম নেতৃত্ব, ঠিক তখনই গেরুয়া শিবির এবং এবং বাম শিবির উভয়কেই কটাক্ষ করছে তৃনমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিপিএমের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া হয়েছিল। তখন সিপিএমের লোকজন তলায় তলায় বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল। এখন তাদের প্রকাশ্যে আনছে। কিন্তু আমাদের দলের কেউ ওদিকে যায়নি। তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক অটুট আছে। কারণ করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা মানুষ দেখেছেন। উনি গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই ভুল বুঝে যারা লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, এখন তারা সকলে আমাদের দিকে ফিরে আসছেন।” তবে এই দলবদল নিয়ে নানা মুনির নানা মত হলেও, বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে সবথেকে বড় মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে যে এই দলবদল এবং এতে একে অপরকে টেক্কা দিতে যে ছাড়ছে না কোনো পক্ষ, তা কার্যত পরিষ্কার। এখন শেষ পর্যন্ত দলবদলের এই অংকে কাদের পাল্লা সব থেকে ভারী হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -