কে হতে চলেছেন পরবর্তী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি? ভাসছে অনেক নাম কলকাতা রাজ্য July 5, 2018 তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভানেত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে জয়া দত্তের নাম। আনুষ্ঠানিক ভাবে এ সিদ্ধান্ত ঘোষিত না হলেও দলীয় অন্দরেই ঘোরা ফেরা করছে এ খবর। সভানেত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে সংগঠনের কর্মীদের তরফ থেকে রয়েছে একগুচ্ছ অভিযোগ। গোষ্ঠী রাজনীতি থেকে শুরু করে তোলাবাজি নিয়ে দুর্নীতি সমস্ত বিষয়েই নাম জড়ানো হয়েছে জয়াদেবীর। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও এই অভিযোগগুলো জানানো হয়েছিলো। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে জয়াদেবীকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি তাতেও। উল্লেখ্য,গত বছর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় ভীষণ রেগে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসময় ফোন করে জয়া দওের কাছে কৈফয়েতও চান তিনি এ ধরণের পরিস্থিতি তৈরির জন্য। তিনি সেবছর ঠিকই করে রেখেছিলেন জয়াদেবীকে সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেবেন। কিন্তু জয়াদেবী শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি সেটা করতে পারেননি। কিন্তু এবার সবার আপত্তি অগ্রাহ্য কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন জয়া দত্তকে সভানেত্রীর পদ থেকে হটানোর। এবারও জয়াদেবীকে সভানেত্রীর পদ থেকে সরানোতে একদমই সমর্থন ছিল না তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর। অন্যদিকে, কলেজে ভর্তির নামে যেভাবে তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন গুলো,তাতে ভীষণ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেষঅব্দি তাকে ময়দানে নামতে হয়েছিলো। ওদিকে কলেজের ছাত্র সংগঠন সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার দেখরখ করার দায়ভার বর্তায় টিএমসিপির সভানেত্রীর উপর। তিনি কার্যত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর উপর। তাই এবার তিনি কারোর আপত্তি না শুনেই জয়া দত্তকে টিএমসিপির সভানেত্রীর পদ থেকে সরালেন। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে এটা নিয়েও দলীয় অন্দরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাজেও সন্তুষ্ট নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় বন্ধু বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ – Priyo Bandhu Bengali —————————————————————————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। ওদিকে জয়া দত্তের স্থানে পরবর্তী ছাত্র নেতা কে হতে চলেছেন তা নিয়েও আপাতত তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আগামী টিএমসিপিরর নেতা হিসাবে। সেই হটলিস্টে রয়েছে মণিশঙ্কর মন্ডল,রুমা নাগ,লগ্নজিতা চক্রবর্তী এবং সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এঁদের মধ্যে লগ্নজিতা দেবী এবং মণিশঙ্কর বাবু দুজনই পরস্পরের বিরোধী দলের সমর্থক। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে নাম জড়িয়েছিলো এ দুজনের। সাত্যকিবাবু আবার সুব্রত বক্সির বিশেষ ঘনিষ্ঠএমনটাই জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে আশুতোষ কলেজের সাত্যকি বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। টিএমসিপির নেতৃত্বের জন্য চার জনের নাম নিয়ে বেশী চর্চা চললেও শেষ মূহুর্তে কার ভাগ্যে টিএমসিপির সভােপতির কুর্সি জুটবে তা একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জানেন। আপনার মতামত জানান -