এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > “দলের কাছে আমি জঞ্জাল।”একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ ও দলত্যাগ তৃণমূল সভাপতির

“দলের কাছে আমি জঞ্জাল।”একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ ও দলত্যাগ তৃণমূল সভাপতির

লোকসভা ভোটের মুখে ধ্বস নামল বীরভূমের শাসকদলের সংগঠনে। দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে পদত্যাগ করলেন বর্ধমানের অঞ্চল সভাপতি সুব্রত পাল। ” দলে আমার কোনে গুরুত্ব নেই। দলের কাছে আমি জঞ্জাল” এমনটাই বক্তব্য ছিল সুব্রতবাবুর। তাঁর সঙ্গে জেলার আরো ৫০ জন সদস্যও দল ছাড়লেন। গোটা ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসক শিবিরে।

বর্ধমানের ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি শ্যামল দত্তের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান সুব্রত বাবু। তারপরই সাংবাদিকদের সামনে উগড়ে দেন দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ। বলেন,মানুষের সেবা করার জন্যে রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু দল তাকে কোনো যোগ্য সম্মানই দেয় না। অঞ্চল সভাপতি হয়েও দলের কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন না তিনি। কোথাও দলের কোনো কর্মকাণ্ড হলে তাকে ডাকাও হয় না। দলের পতাকা ধরার কোনো অধিকার দেওয়া হয় না তাকে। তাহলে দলে থেকে তাঁর কী লাভ? এই প্রশ্ন তুলে দল ছাড়েন তিনি।

এরপর তৃণমূলবিরোধী সুর আরো চড়া করে তিনি বলেন,তাঁর পাশাপাশি অঞ্চলের প্রায় সব নেতা-কর্মীরাই তৃণমূল ছাড়তে চাইছে। হয়তো অনেকে উপরমহলের ভয়ের জন্যে পারছেন না। দল ছাড়ার কথা বললেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হুমকি আসছে। আসলে ছবিটা খুব স্পষ্ট, দলে এরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলেই দল ছাড়তে চাইছেন। দল বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাঁদের দলে কোনো প্রয়োজন নেই। দলের কাছে এঁরা সবাই জঞ্জাল। তাই বোঝা হয়ে দলের ক্ষতি চাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই তাঁদের। আর সে কারণেই দলত্যাগ করাটাই সঙ্গত বলে মনে করলেন অঞ্চল সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অঞ্চল সভাপতির এই দলত্যাগ এবং পদত্যাগ প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লক সভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন, “পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। কিন্তু এখনও তা গৃহীত হয়নি। তাঁর মতামত আমরা শুনেছি। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,লোকসভা ভোটের আগে এভাবে দলের প্রতি একরাশ অভিমান জাহির করে জেলা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদত্যাগ তৃণমূলের সংগঠনের দূর্বলতাকেই সামনে আনল আবার।

পাশাপাশি অঞ্চলের আরো ৫০ জন সদস্য পদত্যাগ করে এটা বুঝিয়ে দিল শাসকদলের প্রতি দলের সদস্যদেরই মনে কতোটা অসন্তোষ রয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ এতোজন সদস্যের পদত্যাগের ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বর্ধমানের জেলা তৃণমূল শিবির। এই প্রেক্ষিতে লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দলের একতা বজায় রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ সেটা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!