এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অন্যায় করেছেন রাজীব, এবার হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের, ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল!

অন্যায় করেছেন রাজীব, এবার হেভিওয়েট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ফিরহাদের, ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে শুদ্ধিকরণ নিয়েও যে মন্ত্রী বনাম মন্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল বেধে যাবে, তা সত্যিই আঁচ করা সম্ভব হয়নি কারও পক্ষে। কেননা দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ভয়াবহ দুর্যোগের পর যে সমস্ত নীচুতলার নেতাকর্মীরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শোকজ করার পাশাপাশি সম্প্রতি অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের অনেককেই দল থেকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করছে বিভিন্ন জেলা নেতৃত্ব। সম্প্রতি হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ রায় হাওড়া জেলায় দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েতের বেশকিছু পদাধিকারীকে দল থেকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন।

আর এরপরেই অরুপবাবুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের এক মন্ত্রী দুর্নীতিকে আটকাতে বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাসপেন্ড করলেও, আরেক মন্ত্রী সরব হওয়ায় রীতিমত তোলপাড় হয় তৃণমূলের অন্দরমহল। আর এবার প্রকাশ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় রাজীববাবু অন্যায় করেছেন বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে ঠিক কি অভিযোগ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? জানা যায়, রাজীববাবু বলেছিলেন, “দলে শুদ্ধিকরণের নামে রাঘববোয়াল, রুই-কাতলাদের ছেড়ে চুনোপুঁটিদের শাস্তি দিয়ে স্বজনপোষণ করা হচ্ছে।” অর্থাৎ তিনি তার মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি চুনোপুটি নেতাদের দুর্নীতি বের করছেন। এক্ষেত্রে হেভিওয়েট নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, তারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যকে দল বিরোধী মন্তব্য বলেই দাবি করেছিল একাংশ।

রাজীববাবুর মত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন তৃণমূলের আর এক শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও হাওড়া জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কো অর্ডিনেটর ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, “রাজীব দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ও যা বলেছে, তা মিডিয়ায় বলেছে। আমাকে তো বলেনি। দলের কথা মিডিয়ায় আলোচনা করব না। কিছু বলার থাকলে ওকে বলব। তবে মুখ খুলে রাজীব অন্যায় করেছে। কিছু বলার থাকলে আমাকে বা দলকে বলতে পারত।”

আর এই গোটা ঘটনায় ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পর এবার ব্যাপকভাবে যে চাপে পড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রকাশ্যে মন্তব্য করে তিনি যে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা রাজ্যের পুরমন্ত্রীর কথাতেই পরিস্কার। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলের অন্দরে এই ব্যাপারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দুঃখপ্রকাশ করেন, নাকি দলের তরফে নয়া কোনো নির্দেশ পান, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!