এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হেভিওয়েট বিদ্রোহী নেতার বিরুদ্ধে সরব হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! শোরগোল শাসকদলে!

হেভিওয়েট বিদ্রোহী নেতার বিরুদ্ধে সরব হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! শোরগোল শাসকদলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলে মোহন বসুকে নিয়ে সমস্যা যেন কিছুতেই কমছে না। জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ডে তিনি জায়গা না পাওয়ার পর থেকেই সরব হতে শুরু করেছিলেন। এক্ষেত্রে জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কল্যাণীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায় মোহন বসুকে। এমনকি সম্প্রতি তাকে পৌরসভা নির্বাচনে টিকিট না দেয়, তাহলে তিনি ত্রিশূল চিহ্ন দাঁড়াবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা।

যার ফলে কার্যত আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। অনেকেই দাবি করেছিলেন, এবার ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন মোহন বসু। তবে মোহনবাবু দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এতদিন মুখ খুললেও, সেভাবে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই মোহন বসুকে কটাক্ষ করে পাল্টা কোনো মন্তব্য করা হয়নি। গোটা পরিস্থিতির দিকেই শুধুমাত্র নজর ডাকছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবার মোহন বসুর বিরুদ্ধে রীতিমত সরব হয়ে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পল্লব দাস। সূত্রের খবর, এদিন দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন পল্লব দাস। যেখানে তিনি বলেন, “প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মোহন বাবু বলেছেন, পৌরসভা ভোটে আমি প্রচুর ভোটে হেরেছি। তা সত্বেও আমাকে কেন কার্যকরী সভাপতি করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথম কথা, আমি 24 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেই এলাকাতেই আমি দলীয় কাজ করতাম। 2015 সালে থেকেই আমি ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে মোহন বসু আমার ওয়ার্ড বদল করে দেন। সংগঠন না থাকা 22 নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমাকে প্রার্থী করা হয়েছিল। বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তিনি আমাকে হারিয়েছিলেন। নানা চক্রান্ত সত্বেও আমি খুব বেশি ভোটে হারিনি। উনি এখন অসুস্থ। দলের মধ্যে থেকে দলের বদনাম করছেন‌। আসলে তিনি পদের জন্যই রাজনীতি করছেন।”

এদিকে মোহন বসুর বিরুদ্ধে জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে বলেও দাবি করেছেন পল্লব দাস। তিনি বলেন, “এখন উনি যা করছেন, তা নিয়ে জেলা কমিটি মারফত একটি রিপোর্ট দিয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। এলাকার মানুষ তৃণমূলের সাথেই রয়েছে। ত্রিশূল চিহ্ন নিয়ে ভোটে দাঁড়ালে কোনো প্রভাব পড়বে না। 17 বছর ধরে চেয়ারম্যান থাকলেও ওনার কোনো জনভিত্তি নেই।”

এদিকে পল্লববাবু মোহন বসুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে হারানোর অভিযোগ করলেও, তাকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন মোহন বসু। এদিন তিনি বলেন, “বিরোধীরা কি আমার কথামত চলবে! এমনটা কখনও হয় নাকি? উনি পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। পৌরসভা ভোট এখনও অনেক দেরি আছে। তখন দেখা যাবে, কার প্রভাব কেমন! আমি মানুষের সঙ্গে আছি। আগামীদিনেও মানুষের সঙ্গেই থাকব।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন মোহন বসু একতরফা মন্তব্য করে গেলেও, সেভাবে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু এবার যেভাবে পল্লব দাসের মত তৃণমূল নেতা মোহন বসুর বিরুদ্ধে সরব হলেন এবং তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলেন, তাতে রীতিমত জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘর ভাঙ্গার ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক মহল।

কিছুদিন আগেই জেলা থেকে ঘুরে গিয়েছেন পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যার পরে আশা করা হয়েছিল, হয়ত বা এই দ্বন্দ্ব কমে যাবে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে সেই গন্ডগোল কমা তো দূর অস্ত, উল্টে তা বাড়তে শুরু করেছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!